পাসওয়ার্ডের অপব্যবহারের অভিযোগ ফিরহাদ হাকিমের।
পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা নিয়ে পাসওয়ার্ডের অপব্যবহারের তত্ত্ব আনলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার রাজ্যে ১০৭টি পুরভোটের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করা হয়। সেই নিয়ে বিভ্রান্তিও ছড়ায় ব্যাপক।
শনিবার প্রার্থী তালিকা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘‘দলীয় সাইটের পাসওয়ার্ডের অপব্যবহার করা হয়েছে। পাসওয়ার্ড অপব্যবহার করেই তালিকা প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।’’ তবে কে বা কারা এই ঘটনার জন্য দায়ী সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ফিরহাদ। বরং দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর স্বাক্ষর করা তালিকাই যে মান্যতা পাবে তা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
তৃণমূলের ‘অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ’ এবং ‘মিডিয়া গ্রুপে’ বিশদ প্রার্থিতালিকা প্রকাশিত হয়। তার পরেই রাজ্যের নানা জায়গা থেকে বিক্ষোভ, অবরোধ, প্রতিবাদের খবর আসতে থাকে। একাধিক নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ-বিধায়ক তাঁদের অসন্তোষের কথা জানাতে থাকেন দলের উপরতলায়। তখন আবার পার্থ ঘোষণা করেন, ‘‘এআইটিসি’র নেটমাধ্যমে প্রকাশিত ওই তালিকা ঠিক নয়। কারণ, সেগুলিতে নেতৃত্বের কোনও স্বাক্ষর নেই। স্বাক্ষর-সহ তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে।’’
সন্ধ্যার পরে আবার বক্সী এবং পার্থের সই করা ‘ঠিক’ তালিকা প্রকাশিত হয়। তাতে কিছু রদবদলও দেখা যায়। কিন্তু আগের তালিকাটি কারা, কী ভাবে, কার সম্মতিতে প্রকাশ করেছিলেন, তা স্পষ্ট হয়নি। আর শনিবারই পাসওয়ার্ডের অপব্যবহার করে ফের প্রার্থিতালিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিলেন ফিরহাদ।
যদিও রাজনৈতিক মহলের ধারনা, ফিরহাদ কারও বিরুদ্ধে নাম না করে অভিযোগ করলেও তাঁর অভিযোগের আঙুল ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের দিকেই। তবে প্রার্থিতালিকা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে যে ‘বিভ্রান্তি’ দেখা দিয়েছে, তার ‘দায়’ ঝেড়ে ফেলেছে প্রশান্তর সংস্থা আইপ্যাক। সংস্থার তরফে দাবি করা হয়, রাজ্যে পুরভোটের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। পুরভোটের জন্য প্রকাশিত কোনও প্রার্থিতালিকার সঙ্গেই তারা জড়িত নয়। তবে সংস্থার তরফে সরকারি বা আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও দাবি ওই মর্মে করা হয়নি।