নিজস্ব চিত্র।
দাদার অনুগামী হিসেবে আজও যাঁরা এলাকা দাপিয়ে বেড়ান, তাঁরা কোন মন্ত্রে কাঁথি পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় জায়গা পেলেন! জল্পনা উস্কে দিলেন খোদ মন্ত্রী অখিল গিরি। তৃণমূলের তরফে কাঁথি ও এগরা নির্বাচন কমিটির আহ্বায়ক অখিলের দেওয়া তালিকা টপকে, কার অঙ্গুলি হেলনে প্রার্থী বাছাই হল তা নিয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে মন্ত্রী নিজেই। আর এই কারণেই তৃণমূলের নির্বাচন কমিটির আহ্বায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
নিজের বাড়ির সামনে বিক্ষোভরত তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে অখিলের বার্তা, ‘‘আমি যে তালিকা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছিলাম, তার কপি আছে আমার কাছে। সব বাদ দিয়ে দাদার অনুগামীদের জায়গা দেওয়া হল কোন যুক্তিতে তা জানি না।’’ অখিল বলেন, ‘‘হয়তো আমার যোগ্যতা নেই প্রার্থী তালিকা তৈরি করার। তাই আমি দলের ওপর তলায় পদত্যাগের কথা জানিয়েছি।’’
প্রার্থী তালিকা নিয়ে এত সহজে যে কাঁথির তৃণমূল কর্মীরা থামছেন না, তা শনিবারও স্পষ্ট। শনিবার সকালের মধ্যেই কাঁথির অধিকাংশ এলাকায় প্রার্থী বদলের দাবিতে পোস্টার পড়ে গিয়েছে। অখিলের যুক্তি, ‘‘দলের রাজ্য কমিটির তরফে কাঁথি ও এগরা পুরসভার জন্য পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিটি গড়া হয়েছিল। যাঁর আহ্বায়ক ছিলাম আমি।’’ কী ভাবে তিনি প্রার্থী তালিকা তৈরি করেছিলেন তার বর্ণনা দিয়ে অখিল জানান, ‘‘প্রতি ওয়ার্ডের নেতৃত্বকে নিয়ে দু’বার বৈঠক করে তবেই প্রার্থী তালিকা তৈরি হয়েছিল, কিন্তু সেই তালিকা অনুমোদন পেল না।’’
অখিলের মতে, এখনও বিজেপি-তেই আছেন এমন দু’জন তৃণমূলের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। এ ছাড়াও দাদার অনুগামী হিসেবে এখনও দাদার (পড়ুন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী) সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন এমন নেতারাও তালিকায় কী ভাবে জায়গা পেলেন তা তিনি জানেন না বলেও দাবি করেছেন অখিল। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘আমি এই তালিকা দেখে নিজেই মর্মাহত! এখানকার নির্বাচন কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আমার যোগ্যতা নেই। তাই শনিবারই আমি তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির কাছে আহ্বায়ক পদ থেকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেব।’’