Doctor's Death

চিকিৎসকের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি

Advertisement

কেদারনাথ ভট্টাচার্য , সুপ্রকাশ চৌধুরী

পূর্বস্থলী ও বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:২৪
Share:

মোবারকের ছবি হাতে বাবা-মা। নাদনঘাটে। —নিজস্ব চিত্র।

তিন বছর আগে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের নীচে রক্তাক্ত দেহ মিলেছিল ২৩ বছরের জুনিয়র ডাক্তার মোবারক হোসেনের। কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, রাত আড়াইটে নাগাদ তিন নম্বর বয়েস হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যান তিনি। পুলিশ তদন্ত করে জানায়, মত্ত অবস্থায় ওই ঘটনা ঘটে। যদিও পূর্বস্থলী ১ ব্লকের নাদনঘাটের ওই পরিবার গোড়া থেকেই দাবি করেছিল, মোবারককে খুন করা হয়েছে। আর জি করের ঘটনা তাঁদের সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে। মোবারকের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্ত দাবি করে আদালতে মামলা করেছেন তাঁরা।

Advertisement

মোবারকের বাবা শেখ হাফিজুল ইসলামের দাবি, ‘‘ছেলের বন্ধুদের কাছ থেকে খবর পেয়েছিলাম আঘাত পেয়ে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছে ও। গিয়ে দেখি, ছেলের নিথর শরীর। সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভিতরে এমন কেন হল, কী করে হল জানতে চাইছি প্রথম দিন থেকে।’’ মেডিক্যাল কলেজের ময়না তদন্তের রিপোর্ট এবং ফরেন্সিক রিপোর্টে ছেলের শরীরে অ্যালকোহল মেলেনি বলেও জানান তিনি।

হাউসস্টাফ হিসেবে সার্জারি বিভাগে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মোবারকের। পরিবারের অভিযোগ, মোবারককে সরিয়ে অন্য কাউকে জায়গা দিতে ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা । তাঁর সঙ্গে একটি মেয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠার কথাও জেনেছিলেন তাঁরা। মোবারকের প্রতিবেশী ফিরোজ শেখ বলেন, ‘‘ওই দিন হাসপাতালে গিয়ে দেখি অনেকে বলাবলি করছেন, এটা আত্মহত্যা। মোবারকের মাথায় আঘাত ছিল। হাত পায়ে ক্ষত ছিল। দোষীদের শাস্তি চাই আমরা।’’ প্রতিবেশীরা জানান, আর জি করের ঘটনার পরে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে যা পাওয়া যাচ্ছে, তাতে খুনের ধারণা বদ্ধমূল হচ্ছে।

Advertisement

শেখ হাফিজুল জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরে পুনরায় তদন্তের জন্য প্রথমে কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলা করা হয়। সেখানে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সিআইডি তদন্তে আস্থা না থাকায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে ডিভিশনে বেঞ্চে যাওয়া হয়। ডিভিশন বেঞ্চে একদিন শুনানিও হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘যত দিন না ঠিকঠাক তদন্ত হচ্ছে, হাল ছাড়ব না।’’

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঘটনার পরে তদন্ত করেছে পুলিশ। পরিবারের তরফে কিছু জানানো হলে, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement