প্রতীকী ছবি।
সর্ষের মধ্যে ভূত হামেশাই শোনা যায়। কিন্তু এ বার কি ভূতের দলে সর্ষে ছড়িয়েছিলেন গোয়েন্দারা? মুর্শিদাবাদে হানা দিয়ে জঙ্গি পাকড়াও করার পর থেকে এই প্রশ্নই উঠছে নানা মহলে। তাঁদের প্রশ্ন, এত নিখুঁত অভিযান হল! তা হলে কি জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যেই চর রয়েছে গোয়েন্দাদের? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের বিভিন্ন সূত্র অবশ্য দাবি করেছে, তাদের নানা জায়গায় নানা চর থাকে। তার উপরে এখন ইন্টারনেটেও নজরদারি থাকে। তবে সেই চর জঙ্গিদের ভিতরে থাকে কি না, সেই প্রশ্নের সরাসরি কোনও উত্তর মেলেনি।
তবে একটি গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, গত এপ্রিল মাস থেকেই নিরবচ্ছিন্ন নজরদারি ছিল। বিশেষত আবু সুফিয়ান ও লিউইয়নের উপরেই বেশি নজর রাখা হত। কারণ, ওরাই এই চক্রের চাঁই এবং আইইডি তৈরিতে দক্ষ। মুর্শিদাবাদের কোন পাড়ায় কার বাড়ি তাও জানা হয়ে গিয়েছিল গোয়েন্দাদের। একই ভাবে নজরদারি চলত কেরলেও। ওই সূত্রের মতে, অনেক সময় গোয়েন্দা বাহিনীর কর্মীরাও ছদ্মবেশে বিভিন্ন এলাকায় নজর রাখে। এক গোয়েন্দাকর্তার কথায়, ‘‘আড়ালে থাকে বলেই তো ওদের চর বলা হয়। তাই তারা সরকারি কর্মী নাকি আমজনতার কেউ তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।” তবে কেউ কেউ দাবি করছেন, অভিযানের রাতেও ওই চরেরা ছিল। অভি়যান শুরু হতেই তারা এলাকা ছাড়ে। কিন্তু এই দাবির সত্যতা গোয়েন্দা সূত্রে সরকারি ভাবে স্বীকার করা হয়নি।
গোয়েন্দাদের একটি সূত্রের দাবি, মুর্শিদাবাদ ছাড়াও মালদহ এবং উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে জঙ্গি সংগঠনের বিস্তার ঘটানো হয়েছে। মাঝেমধ্যে গোপনে উস্কানিমূলক লিফলেটও ছড়ানো হত। ওই এলাকার কিছু জঙ্গি মনোভাবাপন্ন যুবক জলঙ্গি, শামসেরগঞ্জের ডেরায় গিয়ে বৈঠকও করেছে। তা হলে সংগঠনের বিস্তারের সুযোগ নিয়েই কি চর সেঁধিয়েছিল জঙ্গি চক্রে? এ বিষয়ে গোয়েন্দা সূত্র মুখে কুলুপ এঁটেছে। তবে এ কথা শোনা গিয়েছে, অভিযানের বিকেলে জঙ্গিদের বৈঠক এমনকি বৈঠকের পরে কে কে নিজের বাড়িতেই ফিরেছে তার খুঁটিনাটি তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান, চ্যাট গ্রুপে জেহাদি বার্তালাপ