—প্রতীকী ছবি।
সব ঠিক থাকলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ব্যাপক রদবদল হতে পারে বঙ্গ বিজেপিতে। বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। ফলে, বিজেপির রীতি অনুযায়ী সভাপতি বদল কার্যত সময়ের অপেক্ষা। তবে শুধু মুখ বদলই নয়, বঙ্গ বিজেপির সংগঠনের খোলনলচে এ বার বদলে যেতে পারে।
বিজেপি সূত্রের খবর, পরবর্তী সভাপতি কে হবেন, সেই আলোচনা মোটামুটি গুটিয়ে আনা গিয়েছে। এবং এই নিয়ে বাইরে মুখ খুলতে নেতাদের নিষেধ করা হয়েছে দলের তরফে। তবে সূত্রের খবর, দলকে শক্ত হাতে রাখতে এবং নবীন-প্রবীণ সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করতে আরএসএস-ঘনিষ্ঠ কারও হাতে সেই দায়িত্ব যেতে পারে। বদল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদেও। রেওয়াজ অনুযায়ী এই পদে নিয়োগ সরাসরি সঙ্ঘের মতেই হয়। অতীতে সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ দুই নেতা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের (সংগঠন) দায়িত্ব সামলেছিলেন। দলকে সাফল্যও এনে দিয়েছিলেন। সেই জুটি ফিরিয়ে আনার দাবি দলের একাংশে উঠলেও সেই সম্ভাবনা অন্তত এই মুহূর্তে ক্ষীণ। তবে বিজেপি শিবিরের একাংশের মতে, রাজ্য সভাপতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন মোর্চার নেতৃত্বে সঙ্ঘ তাদের পছন্দের লোক বসাতে চাইছে।
সূত্রের খবর, সাধারণ সম্পাদক পদেও একাধিক বদল আসতে পারে। এ ছাড়া রাজ্য সম্পাদক, সহ-সভাপতি পদেও বদল ঘটতে চলেছে। পাশাপাশি, অন্তত ১২টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রের ইঙ্গিত। মণ্ডল স্তরেও ব্যাপক রদবদল হতে চলেছে। তবে তা হলে দলের অন্দরে ‘আলোড়ন’ তৈরি হবে কি না, সেই নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। রাজ্য বিজেপির এক নেতার বক্তব্য, ‘‘নতুন রাজ্য সভাপতি হলে তিনি তাঁর মতো ‘টিম’ তৈরি করার চেষ্টা করবেন। সেটা স্বাভাবিক। যে কোনও বদলেই আলোড়ন হয়। আলোড়ন না থাকলে দলটা জড় পদার্থে পরিণত হবে!’’
রাজ্য বিজেপির মোর্চাগুলিতেও বদল আসন্ন। সূত্রের খবর, প্রথম কোপ পড়তে পারে যুব ও মহিলা মোর্চায়। ছাত্র সংগঠনের এক প্রাক্তন সর্বভারতীয় নেতা যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি পদে আসতে পারেন। মহিলা মোর্চার দায়িত্ব যেতে পারে ‘দুর্গা বাহিনী’র এক নেত্রীর হাতে। পরে অন্য মোর্চাগুলিতেও রদবদল হতে পারে। এক নেতার কথায়, “আগে নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা হোক। তার পরে বাকিটা হবে। সব হতে হতে ডিসেম্বর হয়ে যাবে।”