ফাইল ছবি
প্রকৃতির মেজাজমর্জির কূলকিনারা পাওয়া ভার! ক’দিন আগেই গরমে ভাজাপোড়া হচ্ছিল দক্ষিণবঙ্গ। মঙ্গলবার সেখানেই ভিন্ন ছবি। মেঘবৃষ্টির জেরে দিনের পারদ এমন নামল যে, সিকিমের তাডংকে হারিয়ে দিল নদিয়ার কৃষ্ণনগর। হাওয়া অফিসের খবর, এ দিন তাডংয়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কৃষ্ণনগরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি। তাডংকে টক্কর দিয়েছে দমদম, ব্যারাকপুর, এমনকি শ্রীনিকেতনও। ওই সব এলাকায় দিনের তাপমাত্রা ২৮-২৯ ডিগ্রির ঘরে ঘোরাফেরা করেছে। আবহবিদেরা জানান, আজ, বুধবারেও পরিস্থিতি একই থাকতে পারে। তাপমাত্রা যদি সামান্য বেড়েও যায়, তার পাশাপাশি ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকছে।
কাল, বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে যে-নিম্নচাপ দানা বাঁধতে চলেছে, তার উপরে নজর রাখছে হাওয়া অফিস। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আপাতত নিম্নচাপটি শক্তি বৃদ্ধি করবে। বিভিন্ন বেসরকারি ওয়েবসাইটের মতে, নিম্নচাপটি চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে পারে। সেটি ধেয়ে আসতে পারে ওড়িশা এবং বাংলা উপকূল অভিমুখেও। আবহবিদদের কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলেও উপকূলে আসতে আসতে তার শক্তিক্ষয় হতে পারে।
আবহাওয়া দফতরের খবর, ঝাড়খণ্ড থেকে উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে একটি অক্ষরেখা। তার সঙ্গে অফুরন্ত জলীয় বাষ্পের জোগান দিয়ে চলেছে বঙ্গোপসাগর। তার ফলে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে এমন ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। ইদের সকালে কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে যে বৃষ্টি নেমেছিল, তার পিছনেও একই কারণ ক্রিয়াশীল । ওই মেঘবৃষ্টির প্রভাবেই দিনের তাপমাত্রা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি।