নবান্ন। — ফাইল চিত্র।
ভোটের মধ্যেই এগিয়ে আসছে অবসরের দিন। এই অবস্থায় মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকার কার্যকালের মেয়াদবৃদ্ধি (এক্সটেনশন) নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে। আধিকারিকদের একাংশের দাবি, কেন্দ্রের কাছে ইতিমধ্যেই এ নিয়ে আর্জি জানিয়েছে রাজ্য। অবশ্য সরকারি ভাবে এ সব নিয়ে মুখ খোলেনি নবান্ন।
আগামী ৩১ মে মুখ্যসচিবের পদ থেকে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা রয়েছে। অথচ ভোট শেষ হবে ৪ জুন। অভিজ্ঞ আধিকারিকদের মতে, ইতিমধ্যেই সেই আর্জি কেন্দ্রের কাছে না পৌঁছলে ওই পদের জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অনুমতিক্রমে নতুন কোনও নাম বাছা হতে পারে।
প্রবীণ এক আমলার কথায়, “সরকারি খাতায় ভগবতীর জন্মদিন ১৯৬৪ সালের ১ জুন। নিয়ম অনুযায়ী, ২ জুন বা তার পরের কোনও দিন জন্ম তারিখ হলে তিনি অবসর নিতেন জুন মাসের শেষ দিন। ১ জুন জন্ম তারিখ হওয়ায় তিনি অবসর নেবেন আগের দিন, অর্থাৎ ৩১ মে।”
প্রশাসনিক বিশ্লেষকদের মতে, অবসরের কারণেই এক দিনের জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজি হতে হয়েছিল বিবেক সহায়কে। প্রাক্তন ডিজি রাজীব কুমারকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় বিবেককে ডিজি করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ভোট চলাকালীনই তাঁর অবসরের দিন চলে আসায় পরের দিনই বিবেক সহায়ের বদলে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে ডিজি পদে নিযুক্ত করেছিল দিল্লির নির্বাচন সদন। ঘটনাচক্রে তার পরেই ভোট চলাকালীন মুখ্যসচিবের অবসরের প্রসঙ্গ তুলে কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার পরে ভগবতীর মেয়াদবৃদ্ধির আর্জি কেন্দ্রকে পাঠানো নিয়ে জল্পনা তীব্র হয়েছে।
প্রবীণ আধিকারিকদের অনেকেই জানাচ্ছেন, মেয়াদবৃদ্ধির আবেদন পাঠানো হলেও এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র মানবে কি না, স্পষ্ট নয়। কারণ, রাজ্য কেন্দ্রের কর্মিবর্গ এবং প্রশিক্ষণ দফতরে (ডিওপিটি) আর্জি পাঠালে ডিওপিটি নির্বাচন কমিশনের মতামত নেবে। কমিশন রাজি থাকলে ও অনুমতি দিলে তখন মেয়াদবৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। কারণ, সংশ্লিষ্ট মঞ্জুরি সংক্রান্ত ফাইলে প্রধানমন্ত্রী সই করলে তখনই তা কার্যকর হয়।