—প্রতীকী ছবি।
স্নাতক স্তরে কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইন পোর্টালে ভর্তির প্রথম দফার আসন বরাদ্দ শুক্রবার হয়েছে। কিন্তু ভর্তির ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের মধ্যে ধোঁয়াশা কাটেনি বলে মনে করছে উচ্চ শিক্ষা দফতর। ফলে বরাদ্দকৃত আসন সব না ভরতে পারে, রয়েছে এমন আশঙ্কাও।
এই দফতরের এক আধিকারিক শনিবার জানান, এখনও অনেক পড়ুয়া বুঝতে পারছেন না, আসন যখন বরাদ্দ করা হয়েছে, তখন ভর্তি হতেই হবে। এর পর ‘আপগ্রেডেশন’ চাইলে, তার সুযোগ পাবেন। তিনি বলেন, “কোনও কোনও পড়ুয়া হয়তো ভাবছেন, বরাদ্দ আসনে ভর্তির সুযোগ পেয়ে ভর্তি না হয়ে থাকলেও আপগ্রেডেশনের সুযোগ পাবেন। বাস্তবে তা আদৌ হবে না।” শুক্রবার প্রায় ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৭৮১ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৪ লক্ষ ২২ হাজার ২৪৫ জনকে আসন বরাদ্দ করা হয়েছে। ওই দিন থেকেই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এই দফায় ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হবে ১৮ জুলাই। ওই আধিকারিক জানান, তাঁদের কাছে খবর, অনলাইনে ভর্তি হতে গিয়েও পড়ুয়ারা বিভিন্ন ভুল করে ফেলছেন। এই প্রক্রিয়ায় ভর্তির ফি-ও অনলাইনে জমা দিতে হয়। অনেকে সেটিও ঠিক ভাবে অনুসরণ করতে পারছেন না।
রাজ্যের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৬১টি সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে স্নাতক স্তরে ৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯২১টি আসন আছে। আবেদন করেছেন ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৭৮১ জন। অর্থাৎ ৪ লক্ষের বেশি আসন এমনই ফাঁকা পড়ে থাকবে। এর সঙ্গে বরাদ্দকৃত আসনেও যদি যথাযথ ভর্তি না হয়, তা হলে আসন আরও ফাঁকা থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে ভর্তি হয়েও রাজ্য ও সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স এর কাউন্সেলিংয়ের শেষে বিজ্ঞান শাখার বেশ কিছু পড়ুয়া ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চলে যাবেন। তাই কলেজে কলেজে বিপুল আসন ফাঁকা থেকে যাবে, শিক্ষা মহলের একাংশের ধারণা।