উদ্ধার হয়েছে এই গয়না। নিজস্ব চিত্র।
গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করতে এসে শ্রীরামপুরের চাতরার বেনিয়াপাড়ার এক বৃদ্ধার বাড়িতে রেইকি করে গিয়েছিল এক যুবক, এমনটাই দাবি পুলিশের। পরে রাতের অন্ধকারে সেই বাড়িতে ঢুকে সোনার গয়না চুরির অভিযোগে স্থানীয় ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের বাড়ি থেকে বৃদ্ধার খোওয়া যাওয়া গয়না উদ্ধার হয়েছে। তবে, তদন্তের স্বার্থে ধৃতের নাম-পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
চন্দননগর কমিশনারেটের ডিসি (শ্রীরামপুর) অরবিন্দ আনন্দ জানান, উদ্ধার হওয়া গয়নার মধ্যে রয়েছে একটি হার, তিনটি চুরি এবং একটি বালা। হারটির ওজন ৫৩ গ্রাম। তিনি বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় আরও এক জন যুক্ত বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। ধৃতকে জেরা করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আরও কিছু জিনিস এখনও উদ্ধার হয়নি। সেগুলি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দীপালি শীল নামে বছর আটাত্তরের ওই বৃদ্ধা বাড়িতে একাই থাকেন। অভিযোগ, গত ২৯ অক্টোবর রাত পৌনে ১২টা নাগাদ এক যুবক বাইরে থেকে শাবলের চাড় দিয়ে দরজা ভেঙে ওই বাড়িতে ঢোকে। তার পরে নগদ টাকা, গয়না হাতিয়ে নেয়। দীপালিদেবী ঘুমোচ্ছিলেন। আওয়াজে তিনি জেগে যান। চিৎকার করতেই গয়না নিয়ে চোর পালায়। দীপালিদেবী শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে সিলিন্ডার সরবরাহকারী যুবককে আটক করে। জেরায় সে দোষ স্বীকার করে বলে পুলিশের দাবি। এর পরেই গত শুক্রবার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতকে ৬ দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠান। রবিবার ধৃতের বাড়ি থেকে বৃদ্ধার খোওয়া যাওয়া গয়না উদ্ধার করা হয়।
সোমবার এসিপি (২) শুভতোষ সরকার এবং মামলার তদন্তকারী অফিসার দীপক দাসকে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে ডিসি বলেন, ‘‘অনেক বয়স্ক মানুষ একা থাকেন। তাঁদের নিরাপত্তা এবং দরকারে সাহায্য করা আমাদের কাছে অগ্রাধিকার। তাঁরা আমাদের কন্ট্রোল-রুমে খবর দিলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘স্পর্শ’ নামে একটি অ্যাপও রয়েছে বয়স্কদের সাহায্যার্থে।’’