Coronavirus in West Bengal

সামান্য উপসর্গেও অফিস আসতে মানা করছে রাজ্য সরকার

গণপরিবহণের অভাবে সোমবার দুর্ভোগকে সঙ্গী করেই অফিসে হাজির হয়েছিলেন কর্মী-অফিসারেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২০ ০৪:১৩
Share:

ছবি পিটিআই।

অল্প জ্বর, সর্দি, কাশি থাকলে অফিসে আসার প্রয়োজন নেই। কন্টেনমেন্ট অ্যাফেক্টেড (এ) কিংবা বাফার (বি) জ়োনে থাকা কর্মী-অফিসারদেরও অফিসে আসার দরকার নেই। তাঁরা বাড়িতে থেকে কাজ করতে পারবেন। দূরত্ববিধি বজায় রাখায় সমস্যা হলে প্রয়োজনে ৭০ শতাংশ উপস্থিতির সিদ্ধান্ত বদল করে সাপ্তাহিক রস্টার তৈরি করতে হবে। হাজিরা বৃদ্ধির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সরকারি অফিস নিয়ে মঙ্গলবার নতুন নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন।

Advertisement

গণপরিবহণের অভাবে সোমবার দুর্ভোগকে সঙ্গী করেই অফিসে হাজির হয়েছিলেন কর্মী-অফিসারেরা। ভিড়ে লেপ্টে অফিসে আসার আশঙ্কার কথা শোনা গিয়েছিল বিভিন্ন কর্মী সংগঠনের মুখে। এ দিন অর্থ দফতরের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, উপসর্গহীন (করোনা) কর্মী-অফিসারেরা রস্টার অনুযায়ী আসবেন। তবে অল্প জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ (করোনা) থাকলে অফিসে আসার প্রয়োজন নেই। এ ছাড়া, কন্টেনমেন্ট জ়োনে (এ, বি) বাস করলে সংশ্লিষ্ট কর্মী-অফিসারকে অফিসে আসতে হবে না। যত দিন না ওই জ়োন ক্লিয়ার (সি) বলে ঘোষণা হচ্ছে, তত দিন বাড়িতে থেকেই কাজ করবেন ওই কর্মী বা অফিসার। যে সব কর্মী-অফিসার রস্টারের কারণে অফিস আসতে পারবেন না, তাঁদের বাড়ি থেকে কাজ করতে হবে। যেখানে ই-অফিস ব্যবস্থার ঘাটতি রয়েছে, সেখানে দ্রুত তা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উপ-সচিব পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন অফিসার এবং যাঁদের অফিসে কিউবিকল বা আলাদা বসার ব্যবস্থা আছে, তাঁদের প্রতি দিন নিৰ্দিষ্ট সময় মেনেই অফিসে আসতে হবে। যে সব জায়গায় কর্মী-অফিসাররা এক সঙ্গে কাজ করেন, সেখানে দশ জনের বেশি থাকা যাবে না। এক জনের সঙ্গে অন্য জনের বসার দূরত্ব কোনও ভাবেই দু’মিটারের কম না হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। আর দশ জন কর্মীতেও দূরত্ব বজায় না-রাখা গেলে প্রয়োজনে ৭০ শতাংশের হাজিরার সিদ্ধান্ত বদল করতে হবে। আর যতটা সম্ভব মুখোমুখি বৈঠক এড়িয়ে ফোন, ইন্টারকম, ভিডিয়ো কনফারেন্সে জোর দিতে হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাজ্যে কমছে মৃত্যুহার, কলকাতার বৃদ্ধিই চিন্তার

তবে অফিসের মধ্যে মাস্ক না পরলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। স্যানিটাইজ়ার কিংবা বারবার হাত ধোয়ার পাশাপাশি সুরক্ষাবিধিও খেয়াল রাখতে হবে কর্মী-অফিসারদের। ব্যবহার্য সামগ্রী (কি বোর্ড, এসি-র রিমোট ইত্যাদি) একাধিক বার জীবাণুমুক্ত করতে হবে নিজেদেরই। বৈদ্যুতিক সুইচ, লিফ্‌টের সুইচ, দরজার নবও বারবার পরিষ্কার করতে হবে। একসঙ্গে ১৫ দিন অন্তর অফিস জীবাণুমুক্ত করার কথাও নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। আর তিন জনের বেশি একসঙ্গে ওঠানামা করা যাবে না লিফ্‌টে।

আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিক ফেরাতে কোর্টের সময় ১৫ দিন

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement