SSC Recruitment Case

এসএসসির সুপারিশ ছাড়া একটি চাকরিও হয়নি, তথ্য দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জানাল রাজ্যের মধ্যশিক্ষা পর্ষদ

২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও পর্ষদ তার লিখিত বক্তব্যে সে বিষয়ে কোনও উল্লেখ করেনি। এমনকি, ওএমআর শিট বিকৃতি নিয়েও তারা কোনও তথ্য জানায়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৪ ১৮:২৪
Share:

—প্রতীকী ছবি।

স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-র ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপারিশ ছাড়া নিয়োগ হয়নি বলে জানাল রাজ্যের মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শনিবার সুপ্রিম কোর্টে লিখিত বক্তব্যে পর্ষদ জানিয়েছে, এসএসসির সুপারিশ ছাড়া কাউকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। সঠিক পদ্ধতিতেই ২৫ হাজার ৮৪৪ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালতে পর্ষদ কলকাতা হাই কোর্টের রায় বাতিল করার আর্জি করেছে।

Advertisement

এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছিল হাই কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আপাতত তা স্থগিত রয়েছে। সব পক্ষের লিখিত বক্তব্য জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই মতো বক্তব্য জমা দিয়েছে পর্ষদও। তাদের বক্তব্য, ২০১৬ সালে গ্ৰুপ-সি, গ্ৰুপ-ডি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই সময় পর্ষদ ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল না। তারা ২০১৮ সাল থেকে কাজ শুরু করে। পর্ষদের কাজ ছিল, এসএসসি সুপারিশ মেনে নিয়োগপত্র দেওয়া। পর্ষদ তা-ই করেছে। এসএসসি যা যা সুপারিশ করেছে, তার ভিত্তিতেই তারা চাকরি দিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টে তথ্য দিয়ে পর্ষদের দাবি, নবম-দশমে ১৩০৫৬, একাদশ-দ্বাদশে ৫৭৫৭, গ্ৰুপ-সি ২৪৮৪ ও গ্ৰুপ-ডি কর্মী নিয়োগে ৪৫৪৭ জনের চাকরির সুপারিশ করেছিল এসএসসি। তাদেরকেই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। বাইরের কাউকে চাকরি দেওয়া হয়নি। এসএসসির সঙ্গে পর্ষদের তথ্যগত কোনও ফারাক নেই। লিখিত বক্তব্যে পর্ষদ জানায়, কাউন্সেলিংয়ের পরে অনেকে চাকরিতে যোগদান করেন না। ফলে সেগুলিতে শূন্যপদ তৈরি হয়। সে ক্ষেত্রে ওই শূন্যপদে নতুন সুপারিশ বা নিয়োগপত্র দেখা যেতে পারে। তবে এটা দুর্নীতি নয়। তারা আরও জানায়, একটি ‘ভুল’ শূন্যপদে একই প্রার্থীর দু'টি সুপারিশপত্র ও দু’টি নিয়োগপত্র তৈরি হয়ে থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে একটি কার্যকর এবং অন্যটি বাতিল করা হয়।

Advertisement

ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও পর্ষদ তার লিখিত বক্তব্যে সে বিষয়ে কোনও উল্লেখ করেনি। এমনকি, ওএমআর শিট বিকৃতি নিয়েও কোনও তথ্য তারা জানায়নি। শীর্ষ আদালতে পর্ষদের আবেদন, গত ২২ এপ্রিল হাই কোর্ট যে রায় দান করেছিল, তা খারিজ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হোক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement