উত্তরকাশীর সেই সুড়ঙ্গে উদ্ধারের কাজ। — ফাইল চিত্র।
উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে ঢুকে যাঁরা আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করেছিলেন এবং যাঁরা ‘র্যাট হোল মাইনিং’ করে উদ্ধারকাজে সাহায্য করেছিলেন, তাঁদের জন্য দু’রকম অর্থমূল্যের পুরস্কারের কথা জানিয়েছিল উত্তরাখণ্ড সরকার। এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। রবিবার পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে এসেও বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন উদ্ধারকারী র্যাট হোল মাইনারদের দলের দু’জন।
রবিবার ডিএসপির নেহরু স্টেডিয়ামে সিটু অনুমোদিত ‘হিন্দুস্থান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন’ ‘শ্রমিক মিলনোৎসব’ আয়োজন করে। তাতে যোগ দেন সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিক, কোচবিহারের বলরামপুরের বাসিন্দা মানিক তালুকদার এবং উদ্ধার কাজের অন্যতম দায়িত্বপ্রাপ্ত দিল্লির একটি সংস্থার প্রধান ভাকিল হাসান ও তাঁর সঙ্গী মুন্না কুরেশি। ভাকিলেরাই মূলত র্যাট হোল মাইনিংয়ের কাজটি করেছিলেন।
ভাকিল দুর্গাপুরে বলেন, “দু’রকম সাহায্য কেন? সরকার আমাদের দাবি মেটাতে ছ’দিন সময় চেয়েছে। দাবি না মানা হলে, চেক ফেরত দেওয়া হবে।” ইতিমধ্যেই ভাকিল জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে যাঁরা শ্রমিকদের উদ্ধার করেছিলেন, তাঁদের এক লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ভাকিলদের জন্য মাথা পিছু ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের কথা জানিয়েছিল উত্তরাখণ্ড সরকার। এই অর্থ প্রত্যাখ্যান করে র্যাট হোল মাইনারেরা জানান, এই আচরণ বিমাতৃসুলভ। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামির হস্তক্ষেপে চেক গ্রহণ করলেও, তা ভাঙাননি র্যাট হোল মাইনারেরা। বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘বিজেপি সর্বদা শ্রমিক স্বার্থে কাজ করে। এ ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয়ে থাকলে, মুখ্যমন্ত্রী ঠিক মতো পদক্ষেপ করে, তার সমাধান করবেন৷’’
মানিক এ দিন সুড়ঙ্গে আটকে থাকার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। শেষে বলেন, “সবাই এক সঙ্গে মিলে কাজ করলে যে অনেক সমস্যা মেটানো যায়, এটাই শিখেছি।”