কলকাতায় বাড়ছে বিদ্যুৎচালিত পরিবহণের চাহিদা। প্রতীকী ছবি
শহর কলকাতায় বাড়ছে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির ব্যবহার। সম্প্রতি এমন তথ্যই উঠে এসেছে পরিবহণ দফতরের হাতে। খনিজ জ্বালানির ক্রমবর্ধমান দামের সঙ্গে পাল্লা দিতে নাভিশ্বাস উঠছে গাড়ি মালিকদের। চার চাকা হোক বা মোটর বাইক কিংবা অন্য কোনও পণ্য পরিবহণ যান-- সব ক্ষেত্রেই প্রভাব পড়ছে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির। তাই বাধ্য হয়েই বিকল্প খুঁজে নিয়েচ্ছেন গ্রাহকরা। পেট্রোল-ডিজেল চালিত গাড়ি ছেড়ে তাঁরা বেছে নিচ্ছেন ব্যাটারি চালিত দু’চাকা বা চারচাকার গাড়ি। উৎসাহ দিচ্ছে পরিবহণ দফতর। এ বারের বাজেটে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ও রোড ট্যাক্সে দু’বছরের ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
পরিবহণ দফতরের তথ্য অনুযায়ী, আগের বছরের তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক বিদ্যুৎচালিত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, কয়েক মাসে ২,৪৮২টি এমন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। যা বিগত কয়েক বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। তিন চাকার ব্যাটারিচালিত অটো থেকে শুরু করে বাস, চারচাকা ও দু’চাকার গাড়ির বিক্রি বাড়ছে। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য যতগুলি বিদ্যুৎচালিত গাড়ি বিক্রি হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে দু’চাকার ব্যাটারিচালিত স্কুটার। পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ায় ইলেকট্রিক গাড়ি কেনায় মানুষের ঝোঁক বেড়েছে, এটা ঠিক। এর ফলে পরিবেশবান্ধব পরিবহণের সংখ্যা বাড়বে, কলকাতায় দূষণ কমবে।’’
২০২১-২২ অর্থবর্ষের শেষ পর্যন্ত মোট তিন হাজার ৬৩৭টি ব্যাটারিচালিত স্কুটারের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। একই সময়ে চারচাকার বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ৮৪৩টি। পরিবহণ দফতরের হাতে এমন তথ্য আসার পরেই কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির চার্জিং পয়েন্টের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি নিউটাউনে এমন গাড়ির ‘সেন্টার অব এক্সেলেন্স’ তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এখানে এসে মানুষ নানা ধরনের ব্যাটারিচালিত গাড়ি ‘টেস্ট ড্রাইভ’ করতে পারবেন। ইকো পার্কের কাছে বা বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারের পাশে ইলেকট্রিক গাড়ির ‘সেন্টার অব এক্সেলেন্স’ তৈরি হতে পারে।