বিমানবন্দরেরদিকে যশোর রোড থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত অংশে জোড়া সুড়ঙ্গ নির্মাণ করার পাশাপাশি মেট্রোরলাইন পাতার কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর মেট্রোয় প্রায় ১৮০০ মিটার দীর্ঘ গুরুত্বপূর্ণ সুড়ঙ্গের কাজ সম্পূর্ণ হল।
ওই মেট্রোপথের একটি স্টেশন যশোর রোড। সেই স্টেশনের পরে অতিব্যস্ত ভি আই পি রোড এবং বিমানবন্দরের দিকে যাওয়ার সংলগ্ন রাস্তার একাংশের নীচ দিয়ে ওই সুড়ঙ্গ নির্মাণ কষ্টসাধ্য ছিল বলেই জানাচ্ছেন মেট্রোকর্তারা। কাছাকাছি বিমানবন্দর ডাকঘর ছাড়াও খ্রিস্টানদের সমাধিক্ষেত্র ছিল। সংশ্লিষ্ট দুই কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় তাঁদের অংশ পেরিয়ে নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথের বিমানবন্দর স্টেশনে প্রবেশের সুড়ঙ্গ নির্মাণ করা গিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে মেট্রো সূত্রের খবর।
নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ৬.২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোপথে মোট চারটি স্টেশন রয়েছে। সেগুলি হল নোয়াপাড়া, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, যশোর রোড এবং বিমানবন্দর। নোয়াপাড়া এবং দমদমক্যান্টনমেন্ট স্টেশন দু’টি মাটি থেকে উঁচুতে মেট্রোর উড়ালপথের উপরে রয়েছে। যশোর রোড স্টেশনটি রয়েছে সমতলে। সব শেষে বিমানবন্দর স্টেশনটি একমাত্র ভূগর্ভস্থ স্টেশন এই মেট্রোপথে। বিমানবন্দরেরদিকে যশোর রোড থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত অংশে জোড়া সুড়ঙ্গ নির্মাণ করার পাশাপাশি মেট্রোরলাইন পাতার কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে। যশোর রোড থেকে বিমানবন্দরের দূরত্বে ট্রলি ছুটিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজও সম্পন্ন করে ফেলেছেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথে সুড়ঙ্গের উপরের অংশে থাকা ব্যারিকেড সরিয়ে ইতিমধ্যেই জায়গাটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ওই অংশে গাছ লাগিয়ে সৌন্দর্যায়নের কাজও করা হয়েছে বলে মেট্রো জানিয়েছে। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, ডাক বিভাগ এবং ক্রিশ্চান বেরিয়াল বোর্ডের সক্রিয় সহযোগিতায় ওই অংশের কাজ নির্বিঘ্নে সম্পূর্ণ করা গিয়েছে।’’
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ওই মেট্রোপথের কাজ শেষ হবে।