যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর শীঘ্রই এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহণ দফতর। — ফাইল চিত্র।
অ্যাপ ক্যাবের ভাড়া নিয়ে সমস্যার অন্ত নেই! সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ক্যাবচালক থেকে শুরু করে যাত্রীদের অভিযোগের কথা জেনেছে পরিবহণ দফতর। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী এবং পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে হস্তক্ষেপ দাবি করেছে অনলাইন ক্যাব অপারেটরস গিল্ড। মূলত তারা পরিবহণ দফতরের কাছে ‘কিলোমিটার পিছু ন্যূনতম ভাড়া’ (এমআরপিকে) ঠিক করে দিতে চিঠি দিয়েছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, সরকারের থেকে তারা পারমিট নিয়ে অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা দেন। কিন্তু তাদের জন্য সরকার কোনও ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়নি। তাই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে কিলোমিটার পিছু ন্যূনতম ভাড়া ঠিক করে দিক পরিবহণ দফতর। ওলা, উবরের মতো সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে এমনিতেই চালক এবং যাত্রীদের অভিযোগের অন্ত নেই। আবার এমন কিছু অ্যাপ ক্যাব সংস্থা রয়েছে যারা সরকারের ন্যূনতম নির্দেশাবলি মেনে চলছে না। যা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ পরিবহণ দফতর।
তাই যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর শীঘ্রই এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহণ দফতর। বৈঠকের দিনক্ষণ এখনও স্থির না হলেও, অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে শীঘ্রই যে একটি বৈঠক হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত পরিবহণ দফতরের কর্তারা। অভিযোগকারী সংস্থা অনলাইন ক্যাব অপারেটার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অ্যাপ ক্যাবগুলি সরকারি নির্দেশ মেনে সরকারি পারমিট নিয়েই পরিষেবা দেয়। অথচ তাদের জন্য কিলোমিটার পিছু ন্যূনতম ভাড়া ঠিক করে দেওয়া নেই। এমন ভাবে চলতে থাকলে অনলাইন ক্যাব পরিষেবা পুরোপুরি ভেঙে পড়বে। তাই সরকারের উচিত অবিলম্বে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া। আমরা সেই দাবিতেই আবেদন জানিয়েছি।”
অ্যাপ ক্যাব মালিকদের কথায়, কোভিড সংক্রমণের আগে শহরে প্রায় ৩০ হাজার ক্যাব ট্যাক্সি চলত। এখন সেই সংখ্যা নামতে নামতে ১০-১২ হাজারে এসে ঠেকেছে। পরিবহণ দফতর যদি কিলোমিটার পিছু ন্যূনতম ভাড়া ঠিক না করে দেয় তা হলে অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা পুরোপুরি উঠে যাবে। তাঁদের আরও অভিযোগ, ক্যাব সংস্থাগুলি নিজেদের পরিষেবা এবং কর বাবদ ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ টাকা কেটে নেয়। তার পর যে টাকা পড়ে থাকে তা দিয়ে ক্যাব পরিষেবা দেওয়া ট্যাক্সির মালিকদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমাদের বিষয়ে পরিবহণ দফতর ইতিবাচক ভাবে চিন্তা করুক। এক পরিবহনকর্তার কথায়, বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেই এই সংক্রান্ত অভিযোগগুলি নিয়ে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক হলে ক্যাব সংস্থাগুলির সঙ্গে সেখানে ইউনিয়নগুলিকেও ডাকা হতে পারে।