অনলাইন ট্যাক্সি সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, ৩১ মে-র মধ্যে সব গাড়িতে ভিএলটিডি লাগানো হবে। ফাইল চিত্র।
ভেহিকলস লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস (ভিএলটিডি) লাগানোর সময়সীমা বাড়ানোর দাবিতে ফের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে চিঠি দিল ট্যাক্সি সংগঠন। বুধবার নিজেদের দাবির পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে সেই চিঠি দিয়েছে অনলাইন ক্যাব অপারেটার্স গিল্ড। মঙ্গলবারও একই দাবিতে পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহনকে চিঠি দিয়েছল সংগঠনটি।
চিঠিতে ভিএলটিডি লাগানোর সময়সীমা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে দ্ব্যর্থক ভাবে। ৬ মার্চ পরিবহণ দফতর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলে, আগামী ৩১ মে তারিখের মধ্যে সমস্ত বেসরকারি পরিবহণে ভিএলটিডি যুক্ত করতেই হবে। অর্থাৎ, ভিএলটিডি যুক্ত করার জন্য আরও দু’মাস সময় দেওয়া হল বেসরকারি পরিবহণ মালিকদের। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, গাড়িতে ভিএলটিডি লাগানো না থাকলেও গাড়িগুলিকে সার্টিফিকেট অব ফিটনেস (সিএফ) দেওয়া হবে। এই বিজ্ঞপ্তির আগে পরিবহণ দফতর জানিয়েছিল, ভিএলটিডি না লাগালে গাড়িকে সিএফ দেওয়া যাবে না। পরে পরিবহণ সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত বদল করেছে দফতর।
কিন্তু অনলাইন ট্যাক্সি সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, ৩১ মে-র মধ্যে সব গাড়িতে ভিএলটিডি লাগানো হবে। আবার বলা হচ্ছে, ভিএলটিডি না লাগানো হলেও সিএফ পাওয়া যাবে। এই দু’টিই সিদ্ধান্ত পরস্পর বিরোধী। কারণ যাঁদের গাড়ির সিএফের সময় ৬-৭ মাস বাকি রয়েছে, তাদেরও বলা হচ্ছে ৩১ মের মধ্যে ভিএলটিডি লাগিয়ে নিয়ে আসতে হবে। আবার এখন যাঁরা সিএফ করাবেন, তাঁদের মুচলেকা দিয়ে ৩১ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ এক যাত্রায় পৃথক ফল পাচ্ছেন গাড়ির মালিকরা। তাই সিএফ করাতে গিয়েই ভিএলটিডি বসানোর অনুমতি দিক পরিবহণ দফতর।
এর পাশাপাশি, পরিবহণ সংগঠনটির দাবি, ভিএলটিডি গাড়িতে বসানোর জন্য আরও বেশি সংখ্যার সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। তাহলে সুলভে গাড়ি়র মালিকরা ভিএলটিডি লাগাতে পারবেন। সঙ্গে নতুন এই প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে চলতে পারবেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা আমাদের দাবির পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে পরিবহণ মন্ত্রী ও সচিবকে আমাদের দাবিসমূহ জানিয়েছি। আশা করব, তাঁরা বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদের দাবিগুলি বিবেচনা করবেন।’’