The Ganges

Erosion: ভাঙন ঠেকাতে বিহারের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চায় রাজ্য, টাকা চাওয়া হবে কেন্দ্রের থেকে

ভাগীরথীর ধাক্কায় মালদহের রতুয়া, মানিকচক ও বৈষ্ণবনগর ভাঙন ভয়াবহ আকার নিচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:৩৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিয়েছে গঙ্গার ভাঙন। লাগাতার ভাঙন ঠেকাতে এ বার কেন্দ্রের মোদী সরকারের সাহায্য চাইবে রাজ্য। সহযোগিতা এবং সমন্বয়ের জন্য যোগাযোগ করা শুরু হয়েছে প্রতিবেশী বিহারের সঙ্গেও।

ভাগীরথীর ধাক্কায় মালদহের রতুয়া, মানিকচক ও বৈষ্ণবনগরে ভাঙন ভয়াবহ আকার নিয়েছে। নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে এলাকার পর এলাকা। মুর্শিদাবাদ জেলার শমসেরগঞ্জে তলিয়ে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা জমি, কয়েকশো বসতবাড়ি।

Advertisement

গত সপ্তাহ থেকে ভাঙন পরিস্থিতি নিয়ে সার্ভের কাজ শুরু হয়েছে। সেচ দফতর সূত্রে খবর, অক্টোবর মাসের মধ্যেই এই সার্ভের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তার পর ভাঙন রোধের কাজ শুরু করা যাবে। মুর্শিদাবাদ ও মালদায় ভাঙন রুখতে সাহায্য নিতে হবে বিহার সরকারেরও। শুধু একতরফা কাজে কোনও ফল হবে না বলে জানালেন সেচ দফতরের এক কর্তা। সে কারণেই নীতীশের সরকারের সঙ্গে শলাপরামর্শ করে পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে রাজ্য। পাশাপাশি, সার্ভে রিপোর্ট হাতে পেলে ভাঙন রুখতে কী পরিমাণ খরচ হবে সেই ব্যাপারেও স্পষ্ট ধারণা পাবে সেচ দফতর। তার পরে আর্থিক সাহায্য চেয়ে দরবার করা হবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে।

রাজ্যের সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় গঙ্গার ভাঙনের যে চেহারা আমরা দেখছি তা সত্যিই ভয়াবহ। রাজ্য সরকার এ ক্ষেত্রে নিজের দায়িত্ব পালন করবে ঠিকই, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না। ভাঙন রোধে কেন্দ্র অর্থ দিচ্ছে না। কিন্তু কেন্দ্রের কাছে আমরা দরবার করব।” তিনি আরও বলেন, “এই ভাঙনে লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষের বাড়িঘর তলিয়ে যাচ্ছে। তলিয়ে যাচ্ছে কৃষিকাজের জমিও। শুধু ভাঙন রোধ করা নয়, এর ফলে যাঁরা গৃহহীন হচ্ছেন, কর্মহীন হচ্ছেন তাঁদেরও পুনর্বাসন দেওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্র-রাজ্য উভয়েরই।”

এর মধ্যে বিহার সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গে একপ্রস্থ কথা হয়েছে এ রাজ্যের সেচ দফতরের এক শীর্ষ কর্তার। কিন্তু ভাঙন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য হাতে পেলে তবেই দফতরের কর্তারা ইতিবাচক আলোচনার দিকে অগ্রসর হতে পারবেন। সার্ভে রিপোর্ট পাঠানো হবে দিল্লিতেও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement