পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে পানীয় জল পরীক্ষা করবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। ফাইল চিত্র
করোনা সংক্রমণের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের শহরাঞ্চলগুলিতে দাপট দেখাতে শুরু করেছে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া। গ্রামীণ এলাকায় জলবাহিত রোগের ক্ষেত্রেও যাতে এমনটা না ঘটে তা নিয়ে সজাগ রাজ্য সরকার। এবার পঞ্চায়েত এলাকায় পানীয় জলের পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহেই এই বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা, অর্থসচিব মনোজ পন্থ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায় ও সচিব সুরেন্দ্র গুপ্ত।এছাড়াও ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশ নেন জেলাস্তরের শীর্ষ আধিকারিকরা।সেখানেই স্থির হয়েছে পঞ্চায়েত এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে পানীয় জল পরীক্ষার কাজ করা হবে। এই পরীক্ষার ফলে কোনও এলাকার পানীয় জলে সমস্যা ধরা পড়লে দ্রুতই পদক্ষেপ করবে সংশ্লিষ্ট দফতর।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে খবর, মূলত রাজ্যের আশা-কর্মীদের নিয়েই এই কাজ শুরু করা হবে। পানীয় জলের গুণগত মান পরীক্ষা করতে ‘ফিল্ড টেস্টিং কিট’ দেওয়া হবে তাঁদের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পের অধীনে এই কাজ হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী পুলক। এই কাজের নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে প্রতিদিন কাজের জন্য আশা-কর্মীদের ১০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের এক কর্তার কথায়,‘‘এই কাজে যদি কোনও অসুবিধা হয় তাহলে দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়াররা জেলাশাসকদের সঙ্গে দেখা করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করবেন। বৈঠকেও আমরা জেলাশাসকদের থেকে সবরকমভাবে সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছি।’’ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণের ধাক্কায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে। আর প্রতি বছর গ্রামীণ এলাকার কোথাও না কোথাও জলবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রেই তা মহামারির আকার ধারণ করে। সেই ধরনের ঘটনাগুলি রুখতেই গ্রামীণ এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে পানীয় জল পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।