পরিকাঠামোগত উন্নয়ন বলতে মূলত পর্যাপ্ত জল সরবরাহ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণের কাজে জোর দেওয়া হচ্ছে। কারণ, গত কয়েক বছরে বার বার বানতলা চর্মনগরীতে দূষণের অভিযোগ উঠেছে।
ফাইল চিত্র।
বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন আগামী ২০ ও ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তার আগেই বানতলা চর্মনগরীকে নতুন রূপে সাজাতে চায় রাজ্য সরকার। চর্মশিল্পে আরও বিনিয়োগ টানতে অত্যাধুনিক পরিষেবা ও পরিকাঠামো দিয়ে বণিক মহলের নজর বানতলার দিকে ঘোরাতে চাইছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সে কথা মাথায় রেখেই পরিকাঠামো উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত দফতরকে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং বস্ত্র শিল্প দফতর, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর, কেএমডিএ-সহ একাধিক দফতর ও শিল্প সম্বন্ধীয় সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে চর্মশিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
বানতলা লেদার কমপ্লেক্সকে উন্নততর করার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের কী ভাবে আরও আগ্রহী করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে। কোনও বিনিয়োগকারী বানতলা চর্মনগরীর পরিকাঠামো দেখতে এলে যাতে কোনও খামতি না ধরা পড়ে সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। সূত্রের খবর, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন বলতে মূলত পর্যাপ্ত জল সরবরাহ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণের কাজে জোর দেওয়া হচ্ছে। কারণ, গত কয়েক বছরে বার বার বানতলা চর্মনগরীতে দূষণের অভিযোগ উঠেছে। এ বার সে ধরনের বিতর্ক যাতে কোনও ভাবেই না ওঠে, সেই দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। দূষণ রোধেও নেওয়া হচ্ছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা।
রাজ্য সরকার মূলত চাইছে, দূষণ রোধে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য কথা বলা হচ্ছে চেন্নাইয়ের একটি সংস্থার সঙ্গে। পাশাপাশি ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পর্যাপ্ত জল সরবরাহের জন্য বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে ১৭ কিলোমিটার জুড়ে পাইপলাইন পাতা হবে। এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে।