—প্রতীকী চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদে বদল আনল রাজ্য সরকার। আইনজীবী শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে নতুন মুখ আনা হয়েছে। নতুন পিপি হয়েছেন আইনজীবী দেবাশিস রায়। মঙ্গলবার রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, রাজ্যের পিপি পদে শাশ্বতগোপালের জায়গায় দায়িত্ব নেবেন দেবাশিস। প্রায় সাড়ে ছ’বছর আইন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ওই পদে ছিলেন শাশ্বত।
কোনও আলোচনা না করেই পিপি বদল করা হয়েছে বলে দাবি শাশ্বতের। মঙ্গলবার আনন্দবাজার অনলাইনকে শাশ্বত বলেন, ‘‘এ নিয়ে বিতর্ক চাই না। সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। এত বছর পদে থেকে কাজ করেছি। আমার সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।’’ নবান্ন সূত্রে খবর, শুধু শাশ্বত নন, রাজ্য সরকারের আইনজীবীদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবর্তন হতে পারে।
২০১৭ সালে শাশ্বতকে পিপি পদে নিয়োগ করে সরকার। সেই থেকে টানা ওই পদে ছিলেন তিনি। শাশ্বতের আগে একাধিক বার পিপি পরিবর্তন করেছে রাজ্য। কিন্তু তৃণমূল জমানায় কোনও এক ব্যক্তি এত দিন ওই পদে ছিলেন না। সরকার-ঘনিষ্ঠ আইনজীবী বলেও তাঁর পরিচিতি রয়েছে। রাজ্যের সাম্প্রতিক কালের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় তিনি রয়েছেন। সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেছিলেন ওই আইনজীবী। তাই রাতারাতি ওই পদে বদল নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। শাশ্বতের বক্তব্য, ‘‘দীর্ঘ দিন ওই পদে কাজ করেছি। আমাকে অপসারণের কারণ সরকার জানায়নি। সরকারের যা ভাল মনে হয় তাই করেছে।’’ তাঁর যুক্তি, ‘‘এত দিন আমার মক্কেল ছিল রাজ্য সরকার। এখন আমার মক্কেল আইনজীবী হিসাবে আমাকে চাইছে না।’’
হাই কোর্টে ফৌজদারি কার্যবিধির সব মামলার দেখভালের দায়িত্বে থাকেন পিপি। আদালতের সংক্রান্ত আইন বিভাগের অনেক প্রশাসনিক সিদ্ধান্তও তাঁকে নিতে হয়। গত কয়েক বছরে নানা গুরুত্বপূর্ণ মামলায় রাজ্যের হয়ে শাশ্বতকে দেখা গিয়েছে। পার্ক স্ট্রিটকাণ্ড, নারদ স্টিং অপারেশন, বগটুইকাণ্ডের একটি মামলা এবং লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় তিনি পিপি ছিলেন।