গ্রাফিক- সনৎ সিংহ।
বুধবার কলকাতার কয়েকটি বাস মালিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কলকাতা পুরসভার ভোট নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে। সেখানে কমিশনের কাছে তিনটি দাবি তুলে ধরেছে বাস সংগঠনগুলি। বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে ওই দাবি মানা না হলে তারা বাস দিতে অনাগ্রহী বলেও কমিশনকে জানিয়েছে।
ভোটের কাজে ব্যবহারের জন্য প্রতি বার বাস ভাড়া করে কমিশন। পরিবহণ দফতরের আঞ্চলিক অফিস থেকে ওই বাসের তালিকা পৌঁছে যায় জেলাশাসকের কাছে। কমিশন মারফৎ জেলাশাসকই ওই বাসগুলির ভাড়া মিটিয়ে দেন। কিন্তু এ বারে বাস সংগঠনগুলির কলকাতা পুরভোটে বাস দিতে আপত্তি জানান। তাঁদের মতে, ভোটের কাজে গাড়ি ভাড়া দিয়ে লাভের থেকে লোকসান হয় বেশি। অনেক বার এমনও হয়েছে বাস নিয়েও ভাড়া মেটায়নি কমিশন। বুধবারের বৈঠকে সেই বিষয়টি তুলে ধরে সংগঠনগুলি। তারা জানায়, বিগত ভোটগুলির অনেক টাকাই এখন বকেয়া রয়েছে। যার পরিমাণ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। জেলাশাসক অফিসে বার বার যোগাযোগ করেও কোনও সুরাহা হয়নি। ভোট মিটলেই কেউ পাত্তা দেয়নি তাদের। সংগঠনগুলির দাবি, এখন বাস নিতে হলে আগের সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে।
এ ছাড়া বুধবারের বৈঠকে আরও দু'টি বিষয় তারা তুলে ধরেন। এক, প্রতি বার বকেয়া কিছু টাকা থেকে যায়। যা আদায় করা যায় না। তাই এ বার বাস নিতে হলে অগ্রিম টাকা দিয়ে নিতে হবে। দুই, এখন ডিজেলের দাম অনেক বেশি। তাই কমিশন যে টাকা বরাদ্দ করে তা যথেষ্ট নয়। এখন পরিস্থিতি বিচার করে সংগঠনগুলি যে ভাড়া নির্ধারিত করবে তা যেন মেনে নেয় কমিশন। বাস মালিক সংগঠনগুলির এই দাবিগুলিই ওঠে কমিশনের বৈঠকে। তবে কমিশন এখন ওই দাবিগুলি সব মানবে কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়। এ নিয়ে কমিশনের এক আধিকারিক জানান, আমরা সরাসরি এ সব কাজ করি না। আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবহণের আঞ্চলিক অফিস ও জেলাশাসকরা এটা ঠিক করেন। তাদের কথা মতো আমরা কাজ করি। এ বারেও তাদের মতামত নেওয়া হবে। তার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।