রাজ্য নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র।
মালদহের গাজলের স্কুলে ‘নিখোঁজ’ ব্যালট বাক্স উদ্ধারের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের কাছে দ্রুত রিপোর্ট চাইল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বুধবার কমিশনের নির্দেশিকা জেলায় পৌঁছয়। তার মধ্যেই এ দিন ব্যালট নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ারে। আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের যশোডাঙায় গণনাকেন্দ্রের বাইরে ব্যালট পড়ে থাকার অভিযোগে সরব বিজেপি। জেলাশাসকের কাছে চিঠি দিয়ে সেখানে পুনর্গণনার দাবি তুলেছে তারা।
প্রশাসন সূত্রের দাবি, পঞ্চায়েতে তিন স্তরের আসনেই ব্যালট বাক্স ‘নিখোঁজ’ থাকায় গাজলের সালাইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের জীবনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮৩ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচন করতে হয়েছে। মালদহের জেলাশাসক নীতীন সিংহানিয়া বলেন, ‘‘ব্যালট বাক্স নিখোঁজের কারণ নিয়ে বিডিও-কে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। কারও গাফিলতি রয়েছে কিনা, দেখা হচ্ছে।’’ পুলিশেরও দাবি, তদন্ত চলছে।
আলিপুরদুয়ারে পঞ্চায়েত ভোটের অন্যতম গণনাকেন্দ্র যশোডাঙা হাই স্কুল। গণনার পরে, ওই স্কুলের পাশেই ব্যালট পেপারগুলি পাওয়া যায় বলে অভিযোগ বিজেপির। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা দলের জেলা পরিষদের প্রার্থী মিঠু দাসের অভিযোগ, ‘‘ওই ব্যালট পেপারগুলি বৈধ। বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলির পক্ষে ভোটারদের রায় যাওয়ায় সেগুলি ফেলে দেওয়া হয়েছিল।’’ এত দিন পর অভিযোগ কেন? মিঠুর দাবি, ব্যালটগুলি প্রথম চোখে পড়ে এলাকাবাসীর। এ দিন সেগুলি তাঁদের হাতে আসে। আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা ফোন ধরেননি। মেসেজেরও উত্তর দেননি। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামীর দাবি, ‘‘হারের পরে অজুহাত খুঁজছে বিজেপি।’’