Soumendranath Mukherjee

দুর্নীতির তদন্ত আটকাতে পারে না রাজ্য: বিদায়ী এজি

আচমকা ইস্তফার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সৌমেন্দ্রনাথ। তিনি জানান, কোনও একটি সংবাদমাধ্যমে তাঁর পদত্যাগ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছিল। সরকারের তরফে সেই খবরের প্রতিবাদ করা হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৭
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে তার তদন্ত সব সময়ে দরকার এবং রাজ্য সরকার তা আটকাতে পারে না বলেই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিদায়ী অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। সম্প্রতি এজি পদে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন রাজ্যপালের কাছে। তার পরে শুক্রবার এবিপি আনন্দ-কে একান্ত সাক্ষাৎকারে এজি হিসেবে কাজ এবং সম্পর্কিত নানা বিষয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সেখানেই দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এজি হিসেবে যা করেছি সরকারের ভালর জন্য করেছি। কিন্তু যদি কোনও দুর্নীতির অভিযোগ থাকে, তার তদন্ত হওয়া সব সময়ে দরকার। রাজ্য সরকার কোনও সময়ে, কোনও ভাবে তা আটকাতে পারে না।’’

Advertisement

নিয়োগ দুর্নীতির বিভিন্ন মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে বিদায়ী এজি সৌমেন্দ্রনাথকে। এ দিন তাঁর তদন্ত সংক্রান্ত মন্তব্য তাই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে। তাঁদের ব্যাখ্যা, দুর্নীতি মামলায় রাজ্য সরকার সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করতে গিয়ে কোর্টে বারবার হেরেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে খোদ সরকারের শীর্ষ মহলেই সরকারি কৌঁসুলিদের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ ছিল। উল্লেখ্য, এজি-র ঠিক আগেই পদত্যাগ করেছেন হাই কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায়ও। যদিও পিপি-র পদত্যাগের সঙ্গে তাঁর ইস্তফার কোনও সম্পর্ক নেই বলেও জানিয়েছেন সৌমেন্দ্রনাথ। তিনি বলেন, ‘‘আমি এজি হওয়ার আগে থেকেই উনি পিপি পদে ছিলেন। আমার এবং ওঁর ইস্তফার কোনও সম্পর্ক নেই।’’

আচমকা ইস্তফার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সৌমেন্দ্রনাথ। তিনি জানান, কোনও একটি সংবাদমাধ্যমে তাঁর পদত্যাগ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছিল। সরকারের তরফে সেই খবরের প্রতিবাদ করা হয়নি। এর থেকেই উনি বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি এজি পদে থাকুন তা হয় তো সরকার চায়নি। তবে তিনি এ-ও বলেছেন, ‘‘কেউ কাজ করতে না পারলেই ইস্তফা দেন। পদত্যাগের পরেও সরকারের তরফে কেউ যোগাযোগ করেনি।’’

Advertisement

সরকারের শীর্ষ আইনজীবী হলেও সৌমেন্দ্রনাথ পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন রাজ্যপালকে। বর্তমানে রাজভবন এবং নবান্নের দ্বৈরথ স্পষ্ট। বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে সৌমেন্দ্রনাথ রাজ্যপালকে ইস্তফাপত্র দেওয়ায় অনেকে রাজনৈতিক রংও চাপিয়েছেন। বিদায়ী এজি-র বক্তব্য, ‘‘এজি-র নিয়োগকর্তা রাজ্যপাল। তাই তাঁকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছি। সরকারের তরফে অনুরোধ এলে পুনর্বিবেচনা করব কি না, জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। আমি বলেছি, করব না।’’ তার সঙ্গেই সৌমেন্দ্রনাথের সংযোজন, ‘‘আমার মনে হয়, নিজের মানসম্মান রেখেই সকলের কাজ করা উচিত।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘কোনও অভিমান নেই। যে ধরনের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছিলাম তা পাইনি। ১০০ শতাংশ সহযোগিতা না পেলে পদে থেকে লাভ নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement