—প্রতীকী ছবি।
রেল দুর্ঘটনায় কামরার ভিতরে যাত্রীদের হতাহত হওয়ার ঘটনা দেখে কোচ নির্মাণের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল বোর্ড।
চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরির পুরনো সুইস প্রযুক্তির কোচের উৎপাদন বন্ধ করে জার্মান প্রযুক্তির এলএইচবি কোচের ব্যবহার আগেই শুরু হয়েছে। আধুনিক এলএইচবি প্রযুক্তির কোচে দুর্ঘটনার সময়ে কখনই টেলিস্কোপিক এফেক্টে (দূরবিনের খোল যে ভাবে একটি অন্যটির ভিতরে ঢুকে যায়) একটি কোচ অন্য কোচের ভিতরে ঢুকে পড়ে না। তার বদলে দুর্ঘটনার অভিঘাতে লাইনের দু’পাশে ছিটকে পড়ে কোচ।
নতুন প্রযুক্তির কোচে দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি আগের তুলনায় কমলেও পুরোপুরি এড়ানো যায়নি। ওড়িশার বাহানাগায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস-সহ পর পর আরও কয়েকটি দুর্ঘটনায় দেখা গিয়েছে ভিড়ে ঠাসা কামরার ভিতরে নানা উপকরণে ধাক্কা খেয়ে যাত্রীরা আহত হচ্ছেন। গত, শনিবার ঝাড়খণ্ডের কোডারমার কাছে পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস আচমকা ব্রেক কষায় ট্রেনের মধ্যে আহত হয়ে দুই যাত্রীর মৃত্যু ঘটে। এক যাত্রী গুরুতর আঘাত পান।
ওই সমস্যা এড়াতে রেলের অধীনে থাকা দেশের সবক’টি কোচ কারখানাকে বলা হয়েছে, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের প্রয়োজনে কোচের ভিতরে বিভিন্ন উপকরণ বসানোর সময়ে যাতে সেগুলির কিনারা ধারালো এবং কঠিন না হয় সে দিকে বিশেষ নজর রাখতে। মালপত্র রাখার জায়গা, বোতল টাঙানোর হুক, স্ন্যাক্স টেবল, উঁচু বার্থে ওঠার জন্য রডের সিঁড়ি, সব কিছুই এ ক্ষেত্রে বিবেচনার মধ্যে আনা হচ্ছে বলে রেল সূত্রের খবর।
চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ কারখানা, কপূরথালার রেল কোচ ফ্যাক্টরি, রায়বরেলির মডার্ন কোচ ফ্যাক্টরিতে ইতিমধ্যেই ওই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।