মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
ব্রাত্যই রইল বাংলা। দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বাতিল হল পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো।
প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়েছিল কিছু দিন আগেই। রাজ্যের প্রস্তাবিত ট্যাবলোর সজ্জা এবং অলঙ্করণ নিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের আয়োজক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে দু-দু’বার বৈঠকও হয় রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের কর্তাদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা অনুমোদন পেল না।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, শুক্রবার নবান্নে মেল-মারফত স্পষ্টই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে— এ রাজ্যের ট্যাবলোকে এ বারের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ঠাঁই দেওয়া যাচ্ছে না। ২০২০ এবং ২০২২ সালেও প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানেও রাজ্যের ট্যাবলো বাতিল করেছিল কেন্দ্র। তাই প্রশাসনের এক কর্তার দাবি, আগের বার রাজ্যের ট্যাবলো জায়গা পেয়েছিল বলে এ বার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। তবে, প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গকে ব্রাত্য করার পিছনে কেন্দ্রের ‘বৈষম্যমূলক’ মনোভাবকেই দায়ী করেছে রাজ্য ও তৃণমূল। নানা রাজ্য তাদের রুচি-সংস্কৃতির আদলে প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো সাজালেও মূল থিম নির্দিষ্ট করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এ বারের থিম ‘বিকশিত ভারত’। নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা জানান, রাজ্যের কন্যাশ্রী প্রকল্প-সম্বলিত ট্যাবলোর মডেল পাঠানো হয়েছিল দিল্লিতে। মন্ত্রী শশী পাঁজার মতে, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে মেয়েদের তুলে ধরতে চেয়েছেন, পাছে তা সারা দেশ দেখে সেই আশঙ্কায় এই নীতি নিয়েছে দিল্লি।’’