Lorry Drivers

ঘুম কাটাতে রাতে লরিচালকদের চা খাওয়াবে পুলিশ

গত শনিবার ভোর রাতে দেউলটির ফুল মার্কেটে রাস্তার ধারে একটি ছোট পণ্যবাহী গাড়িতে ফুল তোলা হচ্ছিল। সে সময় পিছন দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই গাড়ির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৪১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

হাই-ওয়েতে ভোর রাতের দুর্ঘটনা কমাতে ট্রাফিক পুলিশের তরফে ট্রাক চালকদের সজাগ রাখতে তাঁদের দাঁড় করিয়ে চা-বিস্কুট খাওয়ানোর দাওয়াই দিলেন পুলিশ কর্তারা। তাঁদের দাবি, এতে চালকদের তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব যেমন কাটবে, তেমনই গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণও করা যাবে।

Advertisement

গত শনিবার ভোর রাতে দেউলটির ফুল মার্কেটে রাস্তার ধারে একটি ছোট পণ্যবাহী গাড়িতে ফুল তোলা হচ্ছিল। সে সময় পিছন দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই গাড়ির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। ওই দুর্ঘটনায় ছ’জনের মৃত্যু হয় এবং চার জন আহত হন। আহতদের মধ্যে তিন জনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ওই দুর্ঘটনার পরে রাতে ট্রাক চালকদের সজাগ রাখতে এবং বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণ করতে জেলা পুলিশ সুপারদের কিছু নির্দেশ পাঠিয়েছেন রাজ্য ট্র্যাফিক পুলিশের এডিজি। জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা বেছে নিয়ে সেখানে গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এর সঙ্গেই রাস্তার প্রয়োজনীয় জায়গাতে চেক পোস্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে। রাজ্য পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, শনিবারের সেই দুর্ঘটনার সময়ে কুয়াশা ছিল। ফলে দৃশ্যমানতাও ছিল কম। তার উপরে ওই অভিযুক্ত ট্রাকের গতি ছিল অনেক বেশি। কর্তাদের মতে, ওই দুইয়ের কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। একই সঙ্গে মনে করা হচ্ছে, সেই সময়ে চালক তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়তে পারেন।

Advertisement

বিভিন্ন জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, ওই নির্দেশের পরেই বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শীত পড়লে বিভিন্ন জাতীয় সড়কে বিক্ষিপ্ত ভাবে ট্রাক চালকদের দাঁড় করিয়ে তাঁদের চা-জল দেওয়া হয়ে থাকে। এ বার শীত পড়ার আগেই ওই ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

এক জেলা পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চালকের চোখ বুজে আসাই রাতে দুর্ঘটনার মূল কারণ। চালকেরা যাতে সজাগ থাকেন, তার জন্য জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ট্রাক-লরি দাঁড় করিয়ে চালকদের চা খেতে দেওয়া শুরু হচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে কথাও বলা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement