—প্রতীকী ছবি।
গত বারের থেকে এ বার পাশের হার বাড়ল হাই মাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিলে। ফল প্রকাশ করে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি আবু তাহের কামরুদ্দিন জানিয়েছেন, হাই মাদ্রাসায় পাশের হার ৮৯.৯৭ শতাংশ, আলিমে ৯২.১৭ শতাংশ এবং ফাজিলে ৯২.৮৯ শতাংশ। বেড়েছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও। তিনটি পরীক্ষায় পাশের হারে ছাত্রদের থেকে পিছিয়ে থাকল ছাত্রীরা। কোচবিহারে পাশের হার সর্বাধিক।
হাই মাদ্রাসা মাধ্যমিক ও ফাজিল উচ্চ মাধ্যমিকের সমতুল। আলিম মাধ্যমিকের সমতুল হলেও সেখানে ধর্মীয় বিষয় বেশি থাকে। হাই মাদ্রাসায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। সেখানে ১৩২০২ জন ছাত্রের মধ্যে পাশ করেছে ৯০.১৯ শতাংশ। ২৫৭২০ জন ছাত্রীর মধ্যে পাশ করেছে ৮৯.৮৫ শতাংশ।
হাই মাদ্রাসায় ৭৭৮ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে মালদহের গাজলের রামনগর হাই মাদ্রাসার ছাত্র শাহিদুর রহমান। মুর্শিদাবাদের তামান্না সুলতানা এবং রামিজ পারভেজ ৭৭৫ পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে। ৭৭৩ পেয়ে তৃতীয় হয়েছে মহম্মদ ইব্রাহিম। শাহিদুর, তামান্না ও ইব্রাহিম ডাক্তার হতে চায়।
আলিমে ৮৬০ পেয়ে প্রথম হওয়া উত্তর ২৪ পরগনার ইরফান হোসেন আইপিএস বা আইএএস হতে চায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাইহান পিয়াদা ৮৪৩ পেয়ে দ্বিতীয় ও হুগলির ইমরান মণ্ডল ৮৩৬ পেয়ে তৃতীয় হয়েছে।
ফাজিলে ৫৫৯ পেয়ে প্রথম হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার সহিদুল সাঁপুই। ওই জেলারই মোস্তাফিজুর রহমান ৫৫৭ পেয়ে দ্বিতীয় ও মেহেবুব হাসান মণ্ডল ৫৫৫ পেয়ে তৃতীয় হয়েছে। হুগলির শেখ সাহিদ আখতারও ৫৫৫ পেয়ে তৃতীয় হয়েছে। ইংরেজি মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়া ১২৭ জনই পাশ করেছে। ১০৪৫ জন অমুসলিম পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পাশের হার ৮৩.৩৪ শতাংশ। হাই মাদ্রাসায় অমুসলিমদের মধ্যে ৭০৮ পেয়ে প্রথম হয়েছে শুভেন্দু সিংহ।