ডেঙ্গি রুখতে শারদ সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর।
ডেঙ্গি রুখতে এ বার অভিনব উদ্যোগ নিল পঞ্চায়েত দফতর। পুজোর মরশুমে মশা ও পতঙ্গবাহিত রোগ যাতে রাজ্যে দাপট দেখাতে না পারে সেই কারণে শারদ সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। এমনিতেই কলকাতা-সহ সারা পশ্চিমবঙ্গে সেরা মণ্ডপ থেকে সেরা প্রতিমা, সেরা আলোকসজ্জা নিয়ে পুজো কমিটিগুলির মধ্যে লড়াই লেগেই থাকে। কিন্তু পঞ্চায়েত দফতরের উদ্যোগে থিম, মণ্ডপ, প্রতিমা বা আলোকসজ্জার পাশাপাশি এ বার স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়েও পুরস্কার পেতে পারে পুজো কমিটিগুলি। মশা-সহ পতঙ্গবাহিত রোগ নির্মূল করতে এলাকায় পুজো কমিটিগুলি কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে বা পদক্ষেপ করছে, সেই বিচার করে স্বাস্থ্য বান্ধব শারদ সম্মান দেওয়া হবে। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত এলাকায় মশা বা যে কোনও ধরনের পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধ করতে পরিচ্ছন্নতা-সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক বিষয়গুলির ওপর নিয়ন্ত্রণ পেতে এবং সামাজিক দায়িত্ব পালনে দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে পুরস্কার দেওয়ার ব্যাপারে বিবেচনা করা হবে।
পঞ্চায়েত দফতরের কর্তার কথায়, পঞ্চায়েত দফতর মুখে ডেঙ্গি পরিস্থিতির কথা না বললেও এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে রাজ্যের বর্তমান ডেঙ্গির উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কারণেই। শারদ সম্মান পাওয়ার আশায় পুজো কমিটিগুলি নিজেদের দায়িত্ব পালনে সচেতন হবে, এমন ভাবনা থেকেই এই পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা বলেন, ‘‘রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি বেড়েছে। তাই রাজ্য সরকার, স্বাস্থ্য ভবন, পুর নগরোন্নয়ন দফতর— সবাই এগিয়ে এসেছে। একযোগে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের যে দফতর সবচেয়ে বেশি নিচুতলায় কাজ করে থাকে তাহলে পঞ্চায়েত দফতর। তাই সাধারণ মানুষকে উৎসবের মরশুমে সচেতন করতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।’’ তিনি আরও বলেন, “ডেঙ্গি পরিস্থিতির মধ্যেই দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে, তাতে মানুষের মধ্যে কিছুটা সচেতনতার অভাব দেখা দিতে পারে। এই সময়ে যদি পুজো কমিটিগুলি বাড়তি সচেতনতা নিয়ে পতঙ্গবাহিত রোগগুলি আটকে দিতে পারে তা সমাজের জন্য হবে মঙ্গলজনক। আর মানুষের মঙ্গলের জন্যই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার কাজ করছে। তাই আমাদের এই উদ্যোগ সফল হবে বলেই আমরা আশা করছি।”