Sourced by the ABP
এক মাসের মধ্যে অব্যবহৃত অর্থের ৭৫% খরচের নির্দেশ দিল পঞ্চায়েত দফতর। সোমবার পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের খরচ না হওয়া ওই অর্থের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন দফতরের কর্তারা। সূত্রের দাবি, সেই বৈঠকেই বলে দেওয়া হয়েছে, ১৫ অগস্টের মধ্যে অন্তত ৭৫% খরচ করতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে টেন্ডার প্রক্রিয়াও।
প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, ২৬ জুন পর্যন্ত প্রায় ২৩৫২ কোটি টাকা খরচ হয়নি। ফলে ৩০ দিনে প্রায় ১৭৬৪ কোটি টাকা খরচ করতে হবে জেলাগুলিকে। দৈনিক হিসাবে যা ৫৯ কোটি টাকা করে। প্রশ্ন উঠছে, যে অর্থ অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে বিগত কয়েক বছর ধরেই, তার বেশিরভাগ রাতারাতি খরচ করা কী ভাবে সম্ভব! আবার সংশ্লিষ্ট মহলই জানাচ্ছে, একটি টেন্ডারে অন্তত এক মাস সময় লাগে। ফলে ১৫ দিনে তা কী ভাবে সম্ভব, প্রশ্ন থাকছে তা নিয়েও।
পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “এই খরচের লক্ষ্য সব জেলাগুলির সম্মিলিত। মাঝে দীর্ঘ প্রায় তিন মাস কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। তাই ধাক্কা দেওয়া হল। গা-ছাড়া মনোভাব চলবে না। যথাসময়ে টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে এটা খুব জরুরি।” তাঁর সংযোজন, “টেন্ডারের ক্ষেত্রেও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, কাজ ফেলে রাখা যাবে না। এই চাপটা রাখতেই হবে।”
সূত্রের দাবি, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অভিজ্ঞতার অভাব থাকলে সংশ্লিষ্টদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হবে। প্রকল্প নির্বাচনেও দুর্বলতা লক্ষ করেছেন দফতরের কর্তারা। ফলে সঠিক প্রকল্প নির্বাচনের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় এবং সময়সাপেক্ষ প্রকল্পগুলিকে থামিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই দফতরেরই অধীনে পরিচালিত হওয়া আবাস এবং ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বরাদ্দ বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র। ফলে অর্থ কমিশনের বরাদ্দের যথাযথ ব্যবহারে আরও জোর পড়ছে। সেই কারণে লোকসভা ভোটের বেশ কয়েক মাস আগেও দৈনিক প্রায় ৬০ কোটি টাকা করে খরচের লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছিল দফতর। তা করা যায়নি। লোকসভা ভোট মিটে যাওয়ায় তাই এ বার ঘাটতি মেটাতে বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে।