প্রতীকী ছবি।
দু’বছরে রাজ্যে স্কুলছুটের পরিমাণ কমে অর্ধেক হয়েছে। রাজ্যের স্কুলশিক্ষা সচিব মণীশ জৈন জানান, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সমীক্ষা রিপোর্টে (অ্যানুয়াল স্কুল এডুকেশন রিপোর্ট বা এএসইআর ২০২০) এই তথ্য উঠে এসেছে। ২০১৮ সালে ওই রিপোর্টে রাজ্যে স্কুলছুটের পরিমাণ ছিল ৩.৩%। চলতি বছরে তা কমে হয়েছে ১.৫ শতাংশ। ওই রিপোর্টে এ-ও উঠে এসেছে যে গত দু বছরে সার্বিক ভাবে দেশে স্কুলছুটের পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৮-তে সারা দেশে ৪ শতাংশ পড়ুয়া স্কুলছুট হত। ২০২০ সালে তা বেড়ে ৫.৫% হয়েছে। কর্নাটক, তেলঙ্গানা, রাজস্থানের মতো বড় রাজ্যে যথাক্রমে ১১.৩, ১৪ এবং ১৪.৯ শতাংশ পড়ুয়া স্কুলছুট হয়েছে।
রাজ্যের শিক্ষা দফতরের কর্তাদের মতে, সরকার যে ভাবে স্কুলগুলিতে নজরদারি এবং সুযোগসুবিধা বাড়িয়েছে তার ফলেই স্কুলছুটের হার কমেছে। এএসইআর ২০২০-এ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে স্কুলপাঠ্য বই সরবরাহেও প্রথম স্থানে পশ্চিমবঙ্গ। রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, এই রাজ্যের মোট ৯৯.৭% স্কুলেই সরকার পাঠ্যবই দেয়। তার মধ্যে ৯৯.৬% স্কুলই সরকারি বা সরকার পোষিত। রিপোর্টে প্রকাশিত, গুজরাতের ৯৫% স্কুলে সেই রাজ্যের সরকার বই সরবরাহ করেছে। এ বার লকডাউনের ফলে নেট মাধ্যমে,
টিভি চ্যানেলের মাধ্যমেও শিক্ষাদান চালাতে হয়েছে। এ রাজ্যেও স্কুল বন্ধ রেখে নানা ভাবে পড়াশোনা চালু রাখা হয়েছে। শিক্ষাকর্তাদের দাবি, রাজ্যের প্রয়াস ও কার্যকারিতা রিপোর্টে প্রশংসিত হয়েছে।
সমীক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, ২৬টি রাজ্য এবং ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সি প্রায় ৫৯ হাজার পড়ুয়ার উপরে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। লকডাউনে এ বারই ফোনভিত্তিক সমীক্ষা হয়েছে। দেশের মধ্যে সার্বিক ভাবে দেখা গিয়েছে, ২০১৮-র তুলনায় ২০২০-তে সরকারি স্কুলে ভর্তির ঝোঁক বেড়েছে। ২০১৮-তে সরকারি স্কুলে ভর্তির হার ছিল ৬২.৮ % এবং ২০২০ সালে তা হয়েছে ৬৬.৪ %।