(বাঁ দিকে) একনাথ শিন্ডে এবং নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপরেই ছাড়লেন শিবসেনা প্রধান একনাথ শিন্ডে। মোদীকে ‘পরিবারের প্রধান’ বলে সম্বোধন করে জানালেন, প্রধানমন্ত্রী যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তাতেই সমর্থন জানাবে শিবসেনা।
বুধবার ঠাণেতে সাংবাদিক বৈঠক করেন শিন্ডে। সেখানেই তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের জন্য বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব যে সিদ্ধান্তই নিক, তাকে সমর্থন করবে শিবসেনা।” প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে তাঁর এই বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানিয়ে শিন্ডে বলেন, “আমি তাঁকে (মোদী) বলেছি, আপনি আমাদের পরিবারের প্রধান। যে ভাবে বিজেপি আপনার সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করে, সে ভাবেই আমরা আপনার সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করব।” শিন্ডে জানান, মঙ্গলবার তাঁর সঙ্গে মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ফোনে কথা হয়েছে। সেখানে সরকার গঠনের আলোচনায় তাঁকে যাতে ‘বাধা’ হিসাবে দেখা না-হয়, তার আর্জি জানান শিন্ডে।
শিন্ডের এই মন্তব্যের পরে রাজনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান, মহারাষ্ট্রে পরবর্তী সরকার গঠন নিয়ে মোটের উপরে একটা মতানৈক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘মহাজুটি’র শরিক দলগুলির মধ্যে। যদিও বুধবার সকালেও শিবসেনা বিধায়ক সঞ্জয় শিরসাত বলেছিলেন, “একনাথ শিন্ডের নামেই বিধানসভা নির্বাচনে লড়া হয়েছিল। তাই তিনিই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রত্যাবর্তনের দাবি রাখেন। শিন্ডে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করবেন না।”
অন্য দিকে, বুধবার বিকেলেই দিল্লি রওনা দিয়েছেন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীস। একটি সূত্রের দাবি, বুধবারই দিল্লি পৌঁছবেন শিন্ডে এবং ‘মহাজুটি’র আর এক শরিক দল এনসিপির অজিত পওয়ার। অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে শপথগ্রহণ এবং মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য গঠন নিয়ে তাঁরা আলোচনা করবেন বলে ওই সূত্রটির দাবি। দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে ফডণবীস জানান, কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, সেই বিষয়ে তিন শরিকের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।