— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্নাতকে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারী চার বছরের অনার্স ডিগ্রি ও তিন বছরের ‘মাল্টিডিসিপ্লিনারি জেনারেল কোর্স’ চালু হয়েছে। তার মধ্যে তিন বছরের জেনারেল কোর্সে আবেদনের অত্যধিক প্রবণতা ভাবাচ্ছে কলেজ অধ্যক্ষদের। অনার্সে বেশ কিছু বিষয়ে স্বল্প সংখ্যার আবেদনেও তাঁরা চিন্তিত।
অধ্যক্ষদের একাংশের মতে, তাড়াহুড়োয় ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পড়ুয়া ও অভিভাবকদের বিষয়টি অগ্রিম বোঝানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সবটা না বুঝেই পড়ুয়ারা আগের মতোই তিন বছরের কোর্সে আবেদন করছেন। কারও মতে, পড়ুয়াদের অনেকেই চার বছরের কোর্সে আগ্রহী নন। তিন বছর পড়েই পেশাগত জীবনে প্রবেশ করতে চাইছেন তাঁরা।
নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী জানিয়েছেন, জমা পড়া আবেদনের বড় অংশই তিন বছরের কোর্সের। ৯০%-র বেশি নম্বর পাওয়া পড়ুয়ারাও তাঁদের মধ্যে রয়েছেন। অনার্সে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, দর্শন, সংস্কৃত, অর্থনীতিতে আবেদন খুবই কম। ক্যানিং বঙ্কিম সর্দার কলেজের অধ্যক্ষ তিলক চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, দুই-তৃতীয়াংশই তিন বছরের কোর্সে আবেদন করেছেন। অনার্সে বিজ্ঞান শাখায় এবং সংস্কৃত, দর্শনেও আবেদন খুবই কম। মহেশতলা কলেজেও তিন বছরের জেনারেল কোর্সেই আবেদনের সংখ্যা বেশি। অনার্স কোর্সে সংস্কৃত, দর্শন, অর্থনীতি, ভূগোলেও আবেদনের সংখ্যা কম। অধ্যক্ষ রুম্পা দাসের যুক্তি, এই সব বিষয় পড়ে চাকরি না পেয়ে এই হাল।
হাওড়ার উলুবেড়িয়া কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস পাল জানিয়েছেন, সেখানেও ৭৫% আবেদনই তিন বছরের জেনারেল কোর্সে। এত পড়ুয়াকে জেনারেল কোর্সে নেওয়ার মতো আসন কলেজে নেই। তিনি বলেন, ‘‘পরে ওরিয়েন্টেশনে কোর্সগুলোর বিষয়ে বোঝানো হবে। তখন পড়ুয়ারা চাইলে আবার আবেদন করতে পারবেন।’’
তবে হুগলির চন্দননগর কলেজে চার বছরের কোর্সে ভাল সংখ্যায় আবেদন জমা পড়েছে বলে অধ্যক্ষ দেবাশিস সরকারের দাবি। তাঁর যুক্তি, পড়ুয়াদের সুবিধার্থে তাঁদের ওয়েবসাইটে কোর্স নিয়ে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। তবে বিজ্ঞান শাখায় আবেদন কম। তাঁর বক্তব্য, বিজ্ঞানের বেশিরভাগ পড়ুয়া বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হচ্ছেন।