প্রতীকী চিত্র
জঙ্গি সংগঠন আলকায়দার হয়ে নাশকতার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে পাশের জেলা মুর্শিদাবাদের ৯ জনকে শনিবার গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সূত্রে খবর, এর মধ্যেই এনআইএর তিন জনের একটি দল মালদহেও ঘুরে গিয়েছে। এমনিতেই বৈষ্ণবনগরে এনআইএর একটি অফিস রয়েছে। মুর্শিদাবাদের ঘটনার পরে এ জেলায় এনআইয়ের পাশাপাশি রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাবাহিনীর নজরদারি বেড়েছে। কিন্তু, সব মহল থেকেই বলা হচ্ছে যে দীর্ঘ দিন জঙ্গি যোগের সন্ধান মালদহ জেলায় পাওয়া যায়নি। তবুও বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা একাধিক পাচারের রুটে, পাশাপাশি সন্দেহজনক একাধিক এলাকাতেও নজরদারিতে ঢিলেমি দিতে চাইছে না এনআইএ, বিএসএফ বা পুলিশ।
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবারই এনআইএর তিন জনের একটি দল জেলার সীমান্ত সংলগ্ন কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগর থানার বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখে। সন্দেহজনক কিছুর সন্ধান মেলেনি বলে এনআইএ সূত্রে খবর। তবে তাঁরা, নজরদারিতে ঢিলেমি দিতে চাইছে না। মালদহের বৈষ্ণবনগরে এনআইএর শাখা অফিসও নজরদারি চালাবে। মুর্শিদাবাদের ঘটনার জেরে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীও। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের প্রায় ৫০ কিলোমিটার বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই। সেখানে নজরদারি বেড়েছে। নজর বাড়িয়েছে পুলিশ ও বিএসএফও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গি যোগ রয়েছে কিনা তা জানতে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ইতিমধ্যে সীমান্তের গ্রামগুলিতে খোঁজখবর শুরু করেছে। বিএসএফের গোয়েন্দা বিভাগও বিশেষ নজর রাখছে। বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মালদহের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় সারাবছরই নজরদারি চলে। তবে মুর্শিদাবাদের ঘটনার জেরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’’ পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘আমরা সব সময় সতর্ক রয়েছি। মালদহের শুধু বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাই নয় বিহার ও ঝাড়খণ্ড সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাতেও আমাদের নজরদারি রয়েছে।’’