রবিবার কলকাতার ধর্মতলা চত্বরে গরমে গলে গিয়েছে রাস্তার পিচ। ছবি: পিটিআই।
রাজ্যে মাত্রা ছাড়াল তাপ। দক্ষিণবঙ্গে তো বটেই, রবিবার উত্তরবঙ্গেরও ছয় জেলায় স্বাভাবিকের থেকে পারদ চড়ল অন্তত ৫ ডিগ্রি। তাপপ্রবাহ চলল উত্তরের দুই জেলায়। বাদ রইল শুধু দার্জিলিং আর কালিম্পং।
রবিবার রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা শনিবারের রেকর্ড পেরোতে পারেনি। বরং কমেছে অনেকটাই। শনিবার ৪৫.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছিল কলাইকুন্ডাই। রবিবার সেখানে তাপমাত্রার পারদ থেমেছে ৪৪.৩ ডিগ্রিতে। তবে তার পরেও রাজ্যের বাকি তাপমাপন কেন্দ্রকে টেক্কা দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের এই শহরতলি।
রবিবার রাজ্যে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা পড়েছে আট জায়গায়। সাধারণত স্বাভাবিকের থেকে পারদ ৬.৫ ডিগ্রি বেশি হলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে ধরা হয়। ৪.৫ ডিগ্রি বেশি হলে মনে করা হয় তাপপ্রবাহ হয়েছে। সেই হিসাবে শনিবার তীব্র তাপপ্রবাহ চলেছিল রাজ্যের ছ’ জায়গায়। আর রবিবার এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, উলুবেড়িয়া, ডায়মন্ড হারবার, মেদিনীপুর, ক্যানিং, কলাইকুন্ডা, পানাগড়, আসানসোল এবং সিউড়িতে। এ ছাড়াও উত্তরবঙ্গের দু’টি এলাকায় তাপমাত্রার পারদ চড়েছে স্বাভাবিকের থাকে ৬.৭ ডিগ্রি বেশি। আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার— দু’জায়গাতেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৬ ডিগ্রি। কিন্তু ৪০ ডিগ্রি না পেরোনোয় এই দুই এলাকাকে তাপপ্রবাহের তালিকাভুক্ত করেনি আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
শহর কলকাতার তাপমাত্রাও বেড়েছে রবিবার। পিচগলা গরম ছিল কলকাতায়। শনিবার যেখানে শহরের তাপমাত্রা থেমেছিল ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, সেখানে রবিবার স্বাভাবিকের থেকে ৬ ডিগ্রি বেড়ে কলকাতার পারদ ছুঁয়েছে ৪১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া সল্টলেকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। দমদমের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতা জুড়েই চলেছে তাপপ্রবাহ।
এ ছাড়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়, তৃতীয় স্থানে বীরভূমের সিউড়ি, চতুর্থ বাঁকুড়া এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহর। দিঘা, হলদিয়া এবং সাগরদ্বীপ ছাড়া দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত শহর-শহরতলি-গ্রামেই তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির উপরে। ৮টি জায়গায় তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ১৪টি জায়গায় তাপপ্রবাহের মাত্রা ছাড়িয়েছে তাপমাত্রা।