নাইট সার্ভিসে পেরিয়ে যায় চার জেলা

হরিণঘাটার সবচেয়ে বড় গাঁজা কারবারি নির্মল চাকী ওরফে মেরু বলছেন, ‘‘ওখানে (‌কোচবিহারে) তো ঘরে-ঘরে গাঁজা চাষ হয়। আমরা ওখান থেকেই মাল আনি।’’ তবে শুধু এলাকার চাষ নয়। অসম ও ত্রিপুরা থেকেও কোচবিহারে প্রচুর পরিমাণ গাঁজা আসে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৯ ০২:২৮
Share:

নদিয়া তো বটেই, পাশের উত্তর ২৪ পরগনাতেও গাঁজার জোগানের বড় কেন্দ্র হরিণঘাটার নগরউখড়া। আর তারও উৎসে আছে কোচবিহার।

Advertisement

হরিণঘাটার সবচেয়ে বড় গাঁজা কারবারি নির্মল চাকী ওরফে মেরু বলছেন, ‘‘ওখানে (‌কোচবিহারে) তো ঘরে-ঘরে গাঁজা চাষ হয়। আমরা ওখান থেকেই মাল আনি।’’ তবে শুধু এলাকার চাষ নয়। অসম ও ত্রিপুরা থেকেও কোচবিহারে প্রচুর পরিমাণ গাঁজা আসে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।

কোন রুটে সেই গাঁজা আসে মাঝে চারটি জেলা— দুই দিনাজপুর, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ টপকে নদিয়ায়?

Advertisement

নগরউখড়ার কারবারিদের দাবি, গাঁজা সাধারণত আসে নাইট সার্ভিস বাসে। কোচবিহারের শালমারা আর বলরামপুর থেকে বাসে বস্তা তুলে দেওয়া হয়। মালদহ, ফরাক্কা, বহরমপুর হয়ে সেই বাস এসে পৌঁছয় উত্তর ২৪ পরগনা ঘেঁষা হরিণঘাটার বিরহী বা জাগুলিতে। সেখানে থেকে মোটরবাইকে চলে যায় মহাদেবপুরে মেরু বা শঙ্কর পালদের ঠেকে।

তবে শঙ্করের দাবি, কোচবিহার থেকে মাল এখন শুধু মেরুই আনেন। স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, গত এক বছরে মেরু চারটি গাড়ি কিনেছেন। তিনি নিজে চারটি গাড়ির কথা স্বীকার না করলেও তাঁর যে গাড়ি আছে সেটা অস্বীকার করেননি। গাড়িগুলি থাকে নগরউখড়া বাজারে। স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, মাস চারেক যাবৎ মেরু নিজের গাড়িতেই কোচবিহার থেকে গাঁজা আনছেন। মাঝরাতের দিকে তা এলাকায় ঢোকে।

শঙ্করের কথায়, ‘‘মেরুদার এখন অনেক গুদাম। মাল খালাস করার জায়গার অভাব নেই।’’ মেরুর এক ঘনিষ্ট সহযোগী বলছেন, ‘‘দাদা এক এক রাতে গাড়িতে করে ৩৫ লক্ষ টাকার মাল আনে। পুরো এলাকার মাল তো দাদাই দেয়।’’ মেরুর নানা গুদাম থেকে বস্তাবন্দি গাঁজা চলে যায় বিভিন্ন জায়গায়। নগরউখড়ার একটি সূত্রের দাবি, উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়া থেকে এক জন মেরুর থেকে গাঁজা নিতে আসেন। প্রায়ই মাঝরাতে অটো নিয়ে এসে বিশ কিলোগ্রাম করে মাল নিয়ে চলে যান। ওই জেলার তেঁতুলিয়াতেও যায় মেরুর মাল। আর নগরউখড়ার আশপাশে নিমতলা, মদনপুর ইত্যাদি জায়গায় তো যায়ই।

কাকপক্ষীরা সবই দেখে, শুধু রা কাড়ে না, এই যা!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement