বাদল অধিবেশনে আনা হতে পারে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য পদে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগের বিল। ফাইল চিত্র।
সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী ১০ জুন শুরু হতে পারে বিধানসভার বাদল অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই আনা হবে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে বসানোর বিল। সূত্রের খবর, ১০ জুন শুক্রবার অধিবেশনের প্রথম দিন শোকপ্রস্তাব দিয়েই শেষ হয়ে যাবে সে দিনের কাজ। ফের অধিবেশন বসবে ১৩ জুন, সোমবার। ওই দিন বিধানসভাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভার বৈঠক করবেন। আপাতত স্থির হয়েছে ১৭ জুন শুক্রবার শেষ হবে বিধানসভার বাদল অধিবেশন।
তবে বাদল অধিবেশন বাজেট অধিবেশনের আঁচ পড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে বিধানসভায় তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। যার জেরে সাসপেন্ড হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির পাঁচ জন বিধায়ক। তার আগেই রাজ্যপালের ভাষণের সময় গোলমাল করার অভিযোগে আরও দুই বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা থেকে বিজেপির সাত জন বিধায়ক সাসপেন্ড হয়ে রয়েছেন। তার পর থেকেই বিধানসভায় নিজের দফতরের বদলে আম্বেডকরের মূর্তির নীচে বসেই নিজের কাজকর্ম সারেন বিরোধী দলনেতা। আবার তাঁদের সাসপেনশনের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি বিধায়করা।
বিজেপি বিধায়কদের একাংশ জানিয়েছেন, যত দিন বিরোধী দলনেতা-সহ তাঁদের সাত জন সতীর্থ সাসপেন্ড থাকবেন, তাঁরাও অধিবেশনে যোগ দেবেন না। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে বসানো এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ‘ভিজিটর’ পদে শিক্ষামন্ত্রীকে বসানোর বিল আনা থেকে শুরু করে বিরোধী দল বিজেপির বিধায়কদের সাসপেনশনের বিষয়টি নিয়ে বাদল অধিবেশন রাজ্য রাজনীতির উত্তাপ বাড়িয়ে দেবে বলেই মনে করছেন বাংলার রাজনীতির কারবারিরা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।