তাই এ বার থেকে ত্রাণে দেওয়া সামগ্রীর ওপরে দেওয়া হবে বিশ্ববাংলার লোগো। এর ফলে একদিকে যেমন সরকারি উদ্যোগে বিলি হওয়া ত্রাণের কথা জানতে পারবেন ত্রাণ গ্রহীতারা, তেমনই ত্রাণের সামগ্রী কালোবাজারে বিক্রি করতে গেলে প্রশাসন তা সহজেই চিহ্নিত করতে পারবে। কালোবাজারে ত্রাণ সামগ্রী বিক্রি করতে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে সহজেই কড়া ব্যবস্থা নিতে পারবে প্রশাসন।
সরকারি ত্রাণে থাকবে বিশ্ববাংলার লোগো। প্রতীকী ছবি
দুর্নীতি রুখতে ত্রাণ সামগ্রীর ওপরেও এ বার দেওয়া হবে বিশ্ববাংলার লোগো। সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। দুর্যোগের সময় দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিলি বন্টনের কাজ করে থাকে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বহু ক্ষেত্রে ত্রাণসামগ্রী কালোবাজারে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু সেই সব সামগ্রীতে সরকারি সিলমোহর না থাকায় সেই সব সামগ্রী খোলাবাজারে বিক্রি হওয়ার সময় তা চিহ্নিত করা যায় না।
তাই এ বার থেকে ত্রাণে দেওয়া সামগ্রীর ওপরে দেওয়া হবে বিশ্ববাংলার লোগো। এর ফলে একদিকে যেমন সরকারি উদ্যোগে বিলি হওয়া ত্রাণের কথা জানতে পারবেন ত্রাণ গ্রহীতারা, তেমনই ত্রাণের সামগ্রী কালোবাজারে বিক্রি করতে গেলে প্রশাসন তা সহজেই চিহ্নিত করতে পারবে। কালোবাজারে ত্রাণ সামগ্রী বিক্রি করতে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে সহজেই কড়া ব্যবস্থা নিতে পারবে প্রশাসন।
গত কয়েক বছরে রাজ্যের ওপর দিয়ে বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আমপান ও ইয়াসের মতো ঘুর্ণিঝড়ের দাপটে ত্রাণসামগ্রী বিলি করতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। প্রশাসনের হাত দিয়ে সেই ত্রাণ বণ্টন হলেও তা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বহু ক্ষেত্রে শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় রাজ্য সরকার অস্বস্তিতে পড়ে। সেই সময় থেকেই দুর্নীতি রোখার পথ খুঁজছিলসরকার। এক আধিকারিকের কথায়, সরকারি সামগ্রীতে সরকারি লোগো থাকলে তা খোলাবাজারে বিক্রি করতে অসুবিধা হবে কালোবাজারিদের। তাই বিশ্ববাংলার লোগো দিয়েই এ বার থেকে ত্রাণ বিলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দফতর। ত্রিপলের গায়ে এবং শুকনো খাবারের প্যাকেটে থাকবে বিশ্ববাংলার লোগো।