—প্রতীকী ছবি।
আধার কার্ড বাতিলের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যের বিরুদ্ধে রীতিমতো খড়গহস্ত হলেন কেন্দ্রের আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনমের ডিভিশন বেঞ্চে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং আধার কর্তৃপক্ষের আইনজীবীদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ রীতিমতো বেআইনি অভিবাসীদের মূল আস্তানা হয়ে উঠেছে! শুধু তা-ই নয়, এই মামলার আবেদনকারী সংগঠন ‘জয়েন্ট ফোরাম এগেনস্ট এনআরসি’-কে কার্যত দেশবিরোধী বলতেও কসুর করেননি তাঁরা। কেন্দ্র এবং আধার কর্তৃপক্ষের দাবি, দেশের নাগরিক নন এমন লোকের আধার বাতিল করা হয়েছিল। যদিও সেগুলি প্রাথমিক ভাবে ব্লক করা হলেও ফের খুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের দাবি, যে সব বিদেশি নাগরিক অবৈধ ভাবে এ দেশে থাকছেন তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
এ দিন এই বিষয়ে দীর্ঘ সওয়াল পর্ব চলেছে কোর্টে। মামলাকারী সংগঠনের তরফে আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝুমা সেন। কোর্টের খবর, এ দিন মূল যে বিষয়গুলি কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, তা সরকারের তরফে আগেই হলফনামা আকারে জমা দেওয়া হয়েছিল। পাল্টা হলফনামা দিয়েছে মামলাকারী সংগঠনও।
মামলাকারী সংগঠনের তরফে প্রসেনজিৎ বসুর অভিযোগ, এনআরসি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে। তাই ঘুরপথে এই পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র। আধার কর্তৃপক্ষ যে নতুন (২৮এ) ধারা এনেছে তার বিরুদ্ধে এই মামলা। প্রসেনজিতের প্রশ্ন, বিদেশি নাগরিক হলে বা বেআইনি হলে কোনও ব্যক্তির বৈধ আধার কার্ড তৈরি হল কী ভাবে? কিসের ভিত্তিতে এই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হচ্ছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। প্রসেনজিৎ বলেন, “এ ব্যাপারে আরটিআই করেছিলাম। বলা হয়েছিল, এটি অতি গোপনীয় বিষয়। সেখানেই সন্দেহ যে, বেআইনি ভাবে কিছু করা হচ্ছে।”
গত লোকসভা ভোটের আগে এই রাজ্যের অনেক বাসিন্দার আধার ব্লক করে দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই ফের সেগুলিকে আনব্লক করা হয়েছে বলে খবর।