প্রতীকী ছবি।
প্রায় ন’বছর আগে টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন। নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও ঝুলে থাকায় চাকরির দাবিতে আন্দোলনও করছেন। এরই মধ্যে বিয়ে ঠিক হয়েছে। সেই বিয়ের মঞ্চেও শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে স্লোগান দিলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের অভয়া রায়। ‘বিয়ের আসর থেকে দিচ্ছি ডাক, বঞ্চিতেরা চাকরি পাক’— তাঁর এমন স্লোগানের ভিডিয়ো ছড়িয়েছে সমাজ মাধ্যমে। বিয়ের পরেও আন্দোলন চালিয়ে যাবেন, জানাচ্ছেন অভয়া।
ভাতারের আমারুনের খেড়ুর গ্রামের বাসিন্দা অভয়া জানান, ২০১৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের টেট উত্তীর্ণ হন তিনি। এখনও চাকরি মেলেনি। টিউশন-সহ ছোটখাট কিছু কাজ করেন অভয়া। বাবা একটি দুর্ঘটনার পরে অসুস্থ হয়ে বাড়িতে থাকেন। দাদা গ্রামে পুজোপাঠ করেন। গত শনিবার ভাতারেরই ছাতনি গ্রামের রিন্টু দে-র সঙ্গে অভয়ার বিয়ে হয়।
অভয়া জানান, নিয়োগের দাবিতে এক সঙ্গে আন্দোলন করা উত্তর ২৪ পরগনার মিতালি পাল, ঝাড়গ্রামের সুষেণ মাহাতো, নদিয়ার রাজু বণিক, বর্ধমানের অপূর্ব পাল-সহ জনা দশেক বন্ধু বিয়েতে এসেছিলেন। তাঁরাই জানতে চান, এর পরে কি অভয়া আন্দোলনে সময় দিতে পারবেন? অভয়া তাঁদের জানান, আন্দোলন থেকে সরার প্রশ্নই নেই। এর পরেই তিনি ওই স্লোগান দেন। গলা মেলান বন্ধুরাও। হঠাৎ এমন ঘটনায় খানিক অবাকই হন অন্য আমন্ত্রিতেরা।
করোনা-কালে নিজের বিয়েতে প্ল্যাকার্ড হাতে স্কুল খোলার আর্জি জানাতে দেখা গিয়েছিল আলিপুরদুয়ারের এক শিক্ষককে। এ বার বিয়ের আসরে নিয়োগের দাবি জানালেন এক চাকরিপ্রার্থী। অভয়ার বক্তব্য, ‘‘এ ভাবে প্রতীকী প্রতিবাদ করেছি।’’ তাঁর স্বামী, বিদেশের হোটেলে কর্মরত রিন্টু বলেন, ‘‘অভয়া নিজের পায়ে দাঁড়াক, এটাই চাই। ওর কাজকে সমর্থন করি।’’ শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনকারী বর্ধমানের সংগঠনের নেতা অপূর্ব পালের দাবি, ‘‘আমাদের পরিস্থিতি জনগণকে বোঝাতে এই ধরনের প্রতীকী প্রতিবাদও জরুরি।’’
গোটা বিষয়টি নিয়ে ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘চাকরিপ্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করব না।’’