শীতলখুচির সেই ভিডিয়োর দৃশ্য। —ফাইল চিত্র ।
তিন বছর অতিক্রান্ত। গত বিধানসভা ভোটের দিন কোচবিহারে শীতলখুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার গ্রামবাসীর মৃত্যুর তদন্ত এখনও বিশ বাঁও জলে। আবার সেই শীতলখুচিতে চলে এসেছে নির্বাচন। শুক্রবার প্রথম পর্যায়ে সেখানে আবার মোতায়েন হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
রাজ্য পুলিশের অভিযোগ, চার গ্রামবাসীর মৃত্যুর তদন্তে বিন্দুমাত্র সহযোগিতা করেনি কেন্দ্রীয় বাহিনী। উল্টে সম্প্রতি তারা সিআইডি তদন্তের বদলে সিবিআই তদন্ত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। রাজ্য পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, তদন্ত প্রায় শেষের দিকে। শুধুমাত্র অভিযুক্ত জওয়ানদের জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি বলেই তদন্ত শেষ করা যায়নি।
২০২১-এর ১০ এপ্রিল ভোটের দিন শীতলখুচির জোরপাটক গ্রামের ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে ওই ঘটনা ঘটে। রাজ্য সিআইডিকে তদন্ত করার নির্দেশ দিলে একজন ডিআইজির নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করা হয়। প্রাথমিক ভাবে অভিযুক্ত জওয়ানদের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ভাবে গুলি চালানোর প্রমাণ মিললেও এখনও শেষ করা যায়নি সেই তদন্ত।
সিআইডি সূত্রের খবর, মূল অভিযুক্ত ছয় সিআইএসএফ জওয়ানকে বার বার ডাকা সত্ত্বেও তদন্তকারীদের সামনে হাজির হননি তাঁরা। আদালত থেকে জামিন নেন এবং সম্প্রতি ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। তদন্তকারীদের দাবি, ওই ঘটনায় একাধিক প্রতক্ষ্যদর্শী তাঁদের জানিয়েছিলেন, গন্ডগোলের সময়ে প্রথমে শূন্যে গুলি চালিয়েছিলেন জওয়ানেরা। তাতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ভিড়। পরে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা ফের ঘটনাস্থলে এলে গোলমাল ব্যাপক আকার ধারণ করে। ওই সময়েই বুথ লক্ষ্য করে ওই জওয়ানেরা গুলি চালান বলে তদন্তে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এমনকি ফরেন্সিক তদন্তেও বুথ লক্ষ্য করে গুলি চালানোর প্রমাণ মিলেছিল বলে সূত্রের দাবি।
সিআইডি সূত্রের দাবি, অভিযুক্ত জওয়ানদের আটবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলেও তাঁরা আসেননি। তাঁরা এখন উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কর্মরত রয়েছেন। অভিযোগ সেখানে গিয়েও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তদন্তকারীরা।