বিবেক তীর্থের উদ্বোধনে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রেসিডেন্ট স্বামী স্মরণানন্দ। বুধবার। ছবি: শান্তনু ঘোষ
নিউ টাউনে ‘রামকৃষ্ণ মিশন সেন্টার ফর হিউম্যান এক্সেলেন্স অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল বুধবার। এ দিন তার দ্বারোদ্ঘাটন করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রেসিডেন্ট স্বামী স্মরণানন্দ।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে বেলুড় মঠের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্ন্যাসীদের কাছে অনুরোধ করেছিলেন, মানুষ গড়ার এবং চরিত্র গঠনের একটি প্রতিষ্ঠান যেন গড়ে তোলা হয়। তাতে রাজি হন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষ। এর পরেই চিরস্থায়ী লিজ়ের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী নিউ টাউনে পাঁচ একর জমির ব্যবস্থা করে দেন। তিনিই ২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর সেই ‘বিবেক তীর্থ’-র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সেখানেই শিকাগোর আর্ট ইনস্টিটিউটের অনুকরণে তৈরি হয়েছে বিবেকানন্দ সভাগৃহ। ১৮৯৩ সালে শিকাগোর ওই প্রতিষ্ঠানেই বিশ্ব ধর্ম মহাসম্মেলনে বক্তব্য রেখেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ বলেন, ‘‘শিকাগোর আর্ট ইনস্টিটিউটের আদলে এমন ভবন দেশে এই প্রথম তৈরি হল। এই বিবেক তীর্থ মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প।’’ সভাগৃহের পাশে ২.৮ লক্ষ বর্গকিলোমিটার জায়গায় গড়ে ওঠা ১২তলা প্রতিষ্ঠানে মিলবে মূল্যবোধ শিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি, ভাষা শিক্ষা, ভারতীয় শিল্প ও সংস্কৃতির পাঠ। থাকছে গবেষণা কেন্দ্র, প্রকাশনা, আইনি সহায়তা কেন্দ্র। সভাগৃহের দোতলায় ধ্যান ও যোগাসন শিক্ষার কেন্দ্র থাকছে বলেও জানান সঙ্ঘের সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বামী বোধসারানন্দ।
বিবেক তীর্থ চত্বরে হস্টেল ও অতিথি নিবাস, কর্মী আবাসন, পরিষেবা ভবন তৈরি হবে। সেগুলির নামকরণ করা হবে স্বামী বিবেকানন্দের চার বিদেশি শিষ্যা ভগিনী নিবেদিতা, জে জে গুডউইন, সারা বুল এবং জ়োসেফিন ম্যাকলয়েডের নামে। পুরো প্রকল্পে খরচ হবে ১৭৫ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই ১৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। রাজ্য সরকার তিন দফায় ২০ কোটি টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছে। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহ-সঙ্ঘাধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দ, স্বামী সুহিতানন্দ, স্বামী ভজনানন্দ, নিউ টাউনের ওই প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক স্বামী বিশোকানন্দ, হিডকোর এমডি দেবাশিস সেন প্রমুখ।