শুনানিতে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য প্রশ্ন করেন, ‘‘রাজ্য সরকার বিশ্ববাংলার লোগো ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ একটি নির্দিষ্ট এমএসএমই-র এই লোগোর মালিকানা রয়েছে। সেখানে কী ভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে?’’ কিন্তু তাঁর এই যুক্তিতে সন্তুষ্ট নয় প্রাধন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত বলে, ‘‘আপনারা তো তথ্য নিয়ে তৈরি হয়ে আসেনি।’’
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ
তথ্য নিয়ে তৈরি হয়ে আসেননি মামলাকারীরা। তাই পিছিয়ে গেল স্কুল পোশাকে বিশ্ববাংলার লোগো মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানি ২ মে। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
শুনানিতে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য প্রশ্ন করেন, ‘‘রাজ্য সরকার বিশ্ববাংলার লোগো ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ একটি নির্দিষ্ট এমএসএমই-র এই লোগোর মালিকানা রয়েছে। সেখানে কী ভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে?’’ কিন্তু তাঁর এই যুক্তিতে সন্তুষ্ট নয় প্রাধন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত বলে, ‘‘আপনারা তো তথ্য নিয়ে তৈরি হয়ে আসেনি।’’
প্রসঙ্গত, স্কুলের পোশাক নীল-সাদা করার পাশাপাশি বুকে বিশ্ববাংলার লোগো লাগানোর নির্দেশ দেয় সমগ্র শিক্ষা মিশন (এসএসএম)। ১৬ মার্চ বিজ্ঞপ্তি জারিও করা হয়। এই লোগো ব্যবহারের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন সৌমেন হালদার নামে এক ব্যক্তি। এই মাামলায় আইনজীবী রাজনীল মুখোপাধ্যায় এর আগে বলেন, ‘‘স্কুলের পোশাক নীল-সাদা করার বিষয়টি নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু পোশাকে বিশ্ববাংলার লোগো ব্যবহার করার বিষয়েই আপত্তি রয়েছে।’’