উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা (এনবিএসটিসি)-র ছাঁটাই কর্মীদের অবিলম্বে চাকরিতে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৪ সালে একই রায় দিয়েছিল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রাইবুনাল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এনবিএসটিসি কর্তৃপক্ষ। হাইকোর্ট এনবিএসটিসি কর্তৃপক্ষের আবেদন খারিজ করে ট্রাইবুনালের নির্দেশই বহাল রেখেছে।
২০১২ সালে এনবিএসটিসি কর্তৃপক্ষ সংস্থার ৮৯০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করেন। তাঁদের অধিকাংশই সংস্থার নিরাপত্তা কর্মী। বাকিরা অন্যান্য কাজ করতেন। অভিযোগ, তাঁদের ঠিকা কর্মী হিসাবে দেখিয়ে এক দিনের নোটিসে ছাঁটাই করা হয়, যা শ্রম আইনের পরিপন্থী। সংস্থার ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রাইবুনালে মামলা করেন ধর্মতলা, চাঁদনি চক, উল্টোডাঙা এবং বারাসত ডিপোর ৩৫ জন ছাঁটাই হওয়া কর্মী। ওই মামলার আইনজীবী বাণীব্রত রায় জানান, ট্রাইবুনালের নির্দেশ ছিল, আবেদনকারীরা ঠিকা কর্মী নন। তাঁদের সংস্থারই কর্মী হিসাবে চাকরিতে ফিরিয়ে নিতে হবে। কিন্তু এনবিএসটিসি কর্তৃপক্ষ ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন। সেখানে ছাঁটাই কর্মীদের পক্ষে মামলা লড়েন আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার গত মঙ্গলবার রায় দিয়েছেন, ওই মামলায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রাইবুনালের নির্দেশই বহাল থাকবে। মামলায় জয়ী কর্মীদের তরফে শ্রমিক নেত্রী বর্ণালী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্যে গ্রামের পাশাপাশি শহরের সরকারি দফতরগুলির জমিতেও জমি মাফিয়াদের নজর পড়েছে। তাদের স্বার্থ রক্ষা করতেই শ্রমিকদের বিরুদ্ধে টাকা খরচ করে হাইকোর্টে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। অথচ, সরকারের নাকি টাকা নেই! আদালতের এই রায়ের ফলে এনবিএসটিসি-র কর্মীরাই নন, দেশের সব ঠিকা কর্মী স্বস্তি পাবেন।’’