মানিক ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র।
নিয়োগ মামলায় গত মাসেই তাঁর স্ত্রীকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। যিনি সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই একই বিচারপতির এজলাসে নিজের এবং পুত্রের জামিনের আবেদন করেছিলেন বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। কিন্তু তাঁর মামলাটি শুরুতেই ধাক্কা খেল। বিচারপতি জানিয়ে দিলেন, নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত পিতা-পুত্রের জামিনের আবেদন মঙ্গলবার শুনবে না আদালত। শুধু তা-ই নয় জামিনের শুনানিতে মানিক উপস্থিতও থাকতে পারবেন না সশরীরে।
নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিকের জামিনের আবেদনের প্রথম শুনানি ছিল মঙ্গলবার। হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তিনি। বিচারপতি ঘোষ গত অগস্টে মানিক-জায়া শতরূপা ভট্টাচার্যকে নিয়োগ মামলায় জামিনে মুক্তি দিয়েছেন। সেটাই ছিল নিয়োগ মামলায় হওয়া প্রথম জামিন। তার পর থেকেই বিচারপতির এজলাসে একের পর এক জামিনের আবেদন জমা দিতে শুরু করেছেন নিয়োগ মামলায় অভিযুক্তরা। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি মানিক এবং তাঁর পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যও জামিনের আবেদন করেছিলেন বিচারপতি ঘোষের এজলাসে। কিন্তু তাঁদের জামিন পাওয়ার আশা আপাতত অপেক্ষায়। কারণ, বিচারপতি ঘোষ জানিয়েছেন, পিতা-পুত্র মানিক এবং সৌভিকের জামিনের আবেদন তিনি শুনবেন এ মাসের শেষে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মানিক এবং সৌভিকের মামলার শুনানির দিন পিছিয়ে দিয়েছেন তিনি।
নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত মানিক-পুত্রের জামিনের শুনানি অবশ্য এই নিয়ে দ্বিতীয় বার পিছিয়ে গেল হাই কোর্টে। অন্য দিকে, মানিকের জামিন মামলাটি মঙ্গলবার শুনানির জন্য উঠতেই সেই আবেদনের বিরোধিতা করেন ইডির আইনজীবী। তিনি আদালতকে জানান, তদন্তে আরও অনেক তথ্য প্রমাণ হাতে আসছে ইডির। মানিকদের মুক্তি দিলে তদন্তে প্রভাব পড়বে। মানিকের মামলার শুনানি তাই আপাতত পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন ইডির আইনজীবী। এর পরেই বিচারপতি ঘোষ মানিকের জামিনের আবেদন পিছিয়ে দেন।
অন্য দিকে, মঙ্গলবার মানিক আরও একটি আবেদন করেছিলেন বিচারপতির কাছে। হাই কোর্টে নিজের জামিনের শুনানির দিনগুলিতে উপস্থিত থাকতে চেয়েছিলেন পলাশিপাড়ার বিধায়ক। হাই কোর্টে তাঁর আইনজীবীই এ ব্যাপারে অনুরোধ করেন। কিন্তু বিচারপতি মঙ্গলবার তাঁর সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর একই দিনে পিতা-পুত্রের মামলা শুনানি থাকলেও দু’জনের সাক্ষাতের কোনও আশা নেই।