—প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের নানা জায়গায় সিবিআইয়ের তল্লাশি চলছে। নতুন তথ্য উঠে আসতে পারে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হোক। কলকাতা হাই কোর্টে আর্জি ইডির আইনজীবীর। ওই আর্জিতে আপত্তি করেননি পার্থের আইনজীবী। দু’পক্ষের অবস্থান শুনে পার্থের জামিনের শুনানি পিছিয়ে দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তিনি জানান, আগামী বছর ৪ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি হবে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ। ওই মামলায় জামিন নিতে হাই কোর্টে আবেদন করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিচারপতি ঘোষের এজলাসে ছিল তার শুনানি। মামলাটি উঠলে ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি করেন। তাঁর বক্তব্য, সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রভাবশালীদের বাড়িতে তল্লাশি করছে সিবিআই। সেখান থেকে নতুন তথ্য উঠে আসতে পারে। সেই সব খতিয়ে দেখে পার্থের জামিন মামলার শুনানি করা হোক। যদিও সিবিআই তল্লাশির সঙ্গে ইডির তদন্তের কী সম্পর্ক রয়েছে আদালতে তা খোলসা করেননি ওই আইনজীবী।
হাই কোর্টে এর আগেও নিয়োগ দুর্নীতির অন্য জামিনের শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি করেছিল ইডি। তখন মামলাকারীর আইনজীবীকে আপত্তি জানাতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে পার্থের আইনজীবী কিশোর দত্ত তা করেননি। ইডির আর্জিতে সহমত জানান তিনি। সব শুনে তাঁর উদ্দেশে বিচারপতি ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘আপনারা এখানে নিজেরাই সময় নিচ্ছেন। তাই শুনানি পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। আবার আপনারাই সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে বলছেন হাই কোর্ট বার বার শুনানি পিছিয়ে দিচ্ছে। মামলার দিন ক্ষণ বেঁধে দেওয়া হোক।’’ বৃহস্পতিবার বিচারপতির এমন পর্যবেক্ষণে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েন পার্থের আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘‘এ বার তার পুনরাবৃত্তি হবে না।’’
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের আবেদন করেছিলেন হাই কোর্টে। পুজোর আগে ওই মামলার শুনানি চার বার পিছিয়ে যায়। ওই মামলাতেও মানিকের আইনজীবী ছিলেন কিশোর। পরে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে তৃণমূল বিধায়কের আইনজীবী দাবি করেন, হাই কোর্ট শুনানির দিন বার বার পিছিয়ে দিচ্ছে। শীর্ষ আদালত দিন ক্ষণ বেঁধে দিক। ওই মামলাটির শুনানি নির্ধারিত দিনেই শেষ করতে হাই কোর্টকে অনুরোধ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও শেষ পর্যন্ত মানিকের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় উচ্চ আদালত।