Bengal SSC Recruitment Case

২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলা পিছোল সুপ্রিম কোর্টে! পরবর্তী শুনানি কবে? জানাল শীর্ষ আদালত

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চেই শুনানি চলছিল মামলাটির। তিনিই লোকসভা ভোটের আগে ওই মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৪ ১৯:০৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি আবার পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। গত ১৬ জুলাই ওই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল ২১ দিনের জন্য। সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, এই মামলার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শুনে তার পরেই এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। সেই মতো ৬ অগস্ট, অর্থাৎ মঙ্গলবার মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সময়ের অভাবে পিছিয়ে যায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চেই শুনানি চলছিল মামলাটির। তিনিই লোকসভা ভোটের আগে ওই মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। মঙ্গলবারও বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই বেঞ্চ অন্য মামলায় ব্যস্ত থাকায় শেষ পর্যন্ত শুনানি হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, আগামী ১৩ অগস্ট ওই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাই কোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ওই রায়ের ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেখানে রাজ্য ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদও মামলা দায়ের করে। শীর্ষ আদালতে যান চাকরিহারাদের একাংশও। গত ৭ মে ওই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘এখনই চাকরি বাতিল করা হচ্ছে না। যদি যোগ্য এবং অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব হয়, তা হলে গোটা প্যানেল বাতিল করা ন্যায্য হবে না।’’ একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায়, আপাতত কাউকে বেতন ফেরত দিতে হবে না। এসএসসির ২০১৬ সালের প্যানেলে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের মুচলেকা দিতে হবে। পরে তাঁদের নিয়োগ ‘অবৈধ’ বলে প্রমাণিত হলে অযোগ্যদের টাকা ফেরত দিতে হবে। তবে আপাতত সেই মামলার ভবিষ্যৎ জানতে আরও এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement