—প্রতীকী ছবি।
কোনও ভাবেই ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস’ (আইএলআই) এবং ‘সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন’ (সারি)-এ আক্রান্ত রোগীকে অবহেলা করা যাবে না বলে সব মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানাল স্বাস্থ্য দফতর। ওই ধরনের উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর শ্বাসকষ্ট হওয়া মাত্রই অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হবে বলে শুক্রবার সব মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছে তারা।
দেশ জুড়ে সমস্ত রাজ্যকে করোনা সম্পর্কে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। সেই আবহে, ‘আইএলআই’ এবং ‘সারি’-তে আক্রান্তদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় জোর দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। কারণ, করোনা আক্রান্তদের ওই দুই অসুখের মতোই উপসর্গ দেখা যায়।
সূত্রের খবর, বৈঠকে বলা হয়েছে অক্সিজেন সরবরাহ অব্যাহত রাখার দিকে নজর রাখতে হবে সব হাসপাতালকে। এই ধরনের রোগীদের কারও সম্পর্কে সন্দেহ হলে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করে দেখতে হবে তিনি কোভিড আক্রান্ত কি না।
সূত্রের খবর, পজ়িটিভ আসা নমুনা পাঠাতে হবে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। সেখান থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্স (এনআইবিএমজি)-এ পাঠানো হবে। শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে আট জন কোভিড আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। যার মধ্যে তিন জনের খোঁজ বুধবারই মিলেছিল। জানা যাচ্ছে, খোঁজ পাওয়া আক্রান্তদের মধ্যে তিন জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং এক শিশু কলকাতা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। আর, বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষায় আরও যে চার জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে, তাঁরা অবশ্য বাড়িতে রয়েছেন।
যদিও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সরকারি ভাবে আক্রান্তের তথ্য কিছু জানানো হচ্ছে না। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে নতুন স্ট্রেনের কোনও খোঁজ মেলেনি। আর, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দু’-তিন জনের বেশি নয়।’’ অন্য দিকে এ দিন কলকাতা হাই কোর্টে একটি মামলা চলাকালীনই প্রধান বিচারপতি টিএস শিবগণনম এজলাসে উপস্থিত গভর্নমেন্ট প্লিডারের (জিপি) কাছে জানতে চান রাজ্যের তরফে কোভিড নিয়ে কোনও নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে কি না ও মাস্ক পরা জরুরি কি না। উত্তরে জিপি জানান, রাজ্য সরকারের তরফে এখনও কোনও নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়নি। এর পরেই প্রধান বিচারপতি জানান, রাজ্যের তরফে কোনও নির্দেশিকা এলেই তা যেন হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই মতো পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।