DA

DA: ডিএ নিয়ে পরিস্থিতি বুঝতে চায় সরকার

শুক্রবারেই ডিএ মামলার রায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। সরকার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২২ ০৫:১৯
Share:

ফাইল ছবি

ডিএ-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তৎপরতা প্রশাসনের শীর্ষমহলে।

Advertisement

শুক্রবারেই ডিএ মামলার রায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। সরকার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। সূত্রের দাবি, রাজ্যের কোষাগারে ডিএ-রায়ের প্রভাব কতটা পড়বে, তা বুঝে নিতে চাইছে প্রশাসন। তবুও আগাম প্রস্তুতি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট করে রাখতে চাইছে ডিএ-র অন্যতম মামলাকারী সংগঠন কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্টস এমপ্লয়িজ়।

নবান্ন সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই এ নিয়ে বিশ্লেষণ শুরু করবেন প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা। ডিএ-র রায় মানতে হলে তার আর্থিক প্রভাব, টাকা জোগাড়ের উৎস কী হবে, ইত্যাদি সব নিয়েই চর্চা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের দাবি, হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ-সহ সব সম্ভাবনাই খোলা রেখে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা হবে। সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট প্রসঙ্গে কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “আগামী সোমবারই সম্ভবত তা হয়ে যাবে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। সরকাকে তিন মাসের সময় দিয়েছে হাই কোর্ট। তার মধ্যে সরকার ডিএ মিটিয়ে দিক, তাই আশা করব। তবে সরকার সুপ্রিম কোর্টে গেলেও আমরা লড়াই করব। রায় না মানলে আদালত অবমাননার মামলাও হতে পারে।”

Advertisement

প্রসঙ্গত, অর্থ বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, বকেয়া থাকা ৩১% ডিএ এখনই মিটিয়ে দিতে হলে সরকারকে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হবে। কিন্তু লক্ষ্ণীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী-সহ মূল কল্যাণ প্রকল্পগুলি মিলিয়ে সরকারের প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয় বছরে। এই অবস্থায় ডিএ-র টাকা কী ভাবে জোগাড় হবে, প্রশ্ন তা নিয়েই।

প্রশাসনিক সূত্র অবশ্য মনে করিয়ে দিচ্ছে, এখনও সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সেখানে এখন গরমের ছুটি পড়েছে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে খুলবে আদালত। তবে এর মধ্যে মামলা করায় বাধা নেই। তেমন হলেও শুনানি হবে আদালত খোলার পরে।

সংগঠন জানিয়েছে, এই তিন মাসের সময়সীমায় সরকারের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীদের ডিএ-র হিসাব কষার তালিম দেওয়া হবে। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সময়ে বকেয়া ডিএ দিয়ে দিতে বলেছে আদালত। একেক জন কর্মীর একেক রকম বেতন কাঠামো থাকা স্বাভাবিক। মূল বেতনের নিরিখে কী ভাবে ডিএ-র হিসেব কষা যাবে, সেটাই সবিস্তারে জানিয়ে দেবেন সংগঠন নেতৃত্ব। মলয় বলেন, “এতগুলি মামলায় জিতেছেন সরকারি কর্মচারীরা। ফলে তাঁদের প্রস্তুতিও থাকা দরকার। তাই এই ভাবনা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement