গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ঘটনার রাতে একাধিক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেছিলেন কৃষ্ণনগরের সেই তরুণী। অভিযুক্ত প্রেমিকও যাঁর যাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন, সব খতিয়ে দেখা হবে। যে অডিয়ো ক্লিপটি প্রকাশ্যে এসেছে, সেটিও পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানালেন কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ কে।
কৃষ্ণনগরে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গড়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সিটের নেতৃত্বে রয়েছেন পুলিশ সুপার নিজে। শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। এর পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানান পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, ‘‘ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা এসেছিলেন। তারা বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছেন। বৃহস্পতিবার আমরা আঙুলের ছাপের নমুনা সংগ্রহ করেছি। একটি প্লাস্টিকের বোতলও পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে হালকা নীলচে রঙের তরল মিলেছে। যাঁরা পরীক্ষা করেছেন, তাঁরা বলছেন যে, ওর ভিতরে কেরোসিনের গন্ধ পাওয়া গিয়েছে।’’
পুলিশ সুপার জানান, যে জায়গা থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই জায়গাটিই প্রকৃত ঘটনাস্থল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তদন্ত শেষ হলে তবেই সবটা নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব। শনি বা রবিবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে জানা যাবে, এটা খুন না আত্মহত্যা। অমরনাথ বলেন, ‘‘ঘটনার রাতে তরুণী একাধিক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। অভিযুক্ত যাঁর যাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন, সেগুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ তরুণীর হোয়াট্সঅ্যাপ স্টেটাসে যে অডিয়ো ক্লিপ মিলেছে, সেটিও পরীক্ষা করে দেখা হবে। অডিয়ো ক্লিপে যে কণ্ঠস্বর শোনা গিয়েছে, তা ওই তরুণীরই কি না, তা যাচাই করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।