ড্রোনের মাধ্যমে চলছে নজরদারি নিজস্ব চিত্র।
গর্জনে উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেল। কিন্তু দিনভর ‘ফাঁদ’ পেতে বসে থেকেও কুলতলির গ্রামে ঢুকে পড়া বাঘটিকে বন্দি করতে পারলেন না বনকর্মীরা। আর গ্রামের পাশের নদীবাঁধ লাগোয়া জঙ্গল থেকে বারবার গর্জনে শিউরে উঠলেন সুন্দরবনের মেরিগঞ্জ-২ অঞ্চলের শেখপাড়ার বাসিন্দারা।
বাঘকে খাঁচাবন্দি করতে সোমবার কার্যত সারাদিন নাস্তানাবুদ হতে হয় বন দফতরকে। বাজি ও পটকার আওয়াজেও জঙ্গল ছেড়ে বের হয়নি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। এ বার তাকে বাগে আনতে এবার দলকলের সাহায্য নিতে চাইছে বন দফতর। দমকলের মাধ্যমে বড় পাইপের সাহায্যে জল ছেটানো হবে জঙ্গলে। আর তাতেই বিরক্ত হয়ে বেরিয়ে আসতে পারে বাঘ। এ ছাড়াও বিশেষ ক্ষমতাপন্ন ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে জঙ্গলে। ড্রোনের মাধ্যমেও বাঘের গতিবিধির উপর নজর রাখা হবে।
জঙ্গলে পাশাপাশি, বাঘ ধরতে নদীর পাড়েও বসানো হয়েছে জাল। রাতের জালের আশেপাশে 'সার্চ লাইট'-এর মাধ্যমে নজরদারি চলছে। এই পরিস্থিতিতে সাময়িক ভাবে বাঘবন্দি অভিযান মুলতবি রাখা হতে পারে বলেও বন দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে।
খাঁচা পেতেও ধরা যাচ্ছে না বাঘ নিজস্ব চিত্র।
বন দফতর জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে বাঘটি পুরুষ। তবে এখনই তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। টানা কয়েক দিন ধরেই বাঘটি অভুক্ত রয়েছে। এ দিকে রবিবার থেকেই শেখপাড়ার জঙ্গলের মধ্যে বাঘের অবস্থানকে নির্দিষ্ট ভাবে চিহ্নিত করা হয়। জালের তিনটি স্তরে ঘিরে ফেলা হয় এলাকা। ছাগলের টোপ দিয়ে বসানো হয় খাঁচা। সোমবার দিনভর ঘুমপাড়ানি বন্দুল নিয়ে টহল দেন বনকর্মীরা। লাগাতার পটকা ফাটানো হয়। তবে নিজের অবস্থান থেকে টলানো যায়নি বাঘকে।
সন্ধ্যার পরও টহলদারি চালিয়ে যান বন দফতর ও পুলিশের কর্মীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) মিলন মণ্ডল সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা বাঘের অবস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছি। তাকে খাঁচাবন্দি করার চেষ্টা চলছে। তবে জঙ্গলেই ঘাপটি মেরে রয়েছে সে।’’